৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ মারলন স্যামুয়েলস

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বরুণ-নোমানকে পেছনে ফেলে মাসসেরা ওয়ারিক্যান
১১ ফেব্রুয়ারি ২৫
কোনো ম্যাচ না খেললেও টি-টেন লিগে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কোডের চারটি ধারা ভঙ করেছেন মারলন স্যামুয়েলস। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ছয় বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটার। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
২০১৯ সালেটি-টেনের দল কর্ণাটক টাস্কার্সে ছিলেন স্যামুয়েলস। যদিও সেবার কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আইসিসি। যেখানে চারটি ধারার কথা উল্লেখ করা হয়।

আইসিসির দেয়া তথ্যমতে দুর্নীতিবিরোধী কোডের ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ নম্বর ধারা ভেঙেছেন স্যামুয়েলস। উপহার, অর্থ, আতিথেয়তা বা অন্য সুবিধা নেয়া এবং এ সকল তথ্য আকসুর কর্মকর্তাকে না জানানোয় বা জানাতে দেরি করায় এসব ধারা ভঙ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৭৫০ বা এর বেশি ইউএস ডলার নেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
সবগুলো ধারা প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে স্যামুয়েলসকে। এবারই প্রথম এমন শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটার। প্রায় একই অপরাধে ২০০৮ সালে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তাতে করে দ্বিতীয়বারের মতো শাস্তি পেতে যাচ্ছেন স্যামুয়েলস।
প্রথমবার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নিয়মিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ৭৮ রান করে প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল হয়েছিলেন স্যামুয়েলস।
২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিরোপা জয়ে অবদান রেখেছিলেন এই ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেছিলেন তিনি। ৬৬ বলে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন স্যামুয়েলস। এমন রঙিন ক্যারিয়ারে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হলো তাকে।