আধ ঘণ্টা পরপর বিশ্বকাপ জয়ের কথা মনে পড়ছে কামিন্সের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এক ভেন্যুতে খেলে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে ভারত: কামিন্স
২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫
বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরেছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ওয়ানডে ক্রিকেটের মহারণ জিতে দেশে ফিরলেও নেই তেমন কোনো বিশেষ আয়োজন। তবুও বিশ্বকাপ জয়কে তো আর পেছনে ফেলবার সুযোগ নেই। ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে যাবার পরও বিশ্বকাপ জয়ের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেননি কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক জানান, আধ ঘণ্টা পরপরই তার মনে হচ্ছে তারা বিশ্বকাপ জিতেছেন।
ভারত ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সবার যখন দুই ম্যাচ শেষ তখন পয়েন্ট টেবিলে অজিদের অবস্থান ছিল দশে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বকাপের ট্রফি জিতেছে কামিন্সের দল। ফাইনালে উড়তে থাকা ভারতকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।

বিশ্বকাপ জিতলেও উদযাপনের জন্য খুব বেশি সময় পাননি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। বৃহস্পতিবার ভারতের বিপক্ষে শুরু হচ্ছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বিশ্বকাপ খেলা সাত ক্রিকেটার থেকে গেছেন ভারতে। বাকিরা ফিরে গেছেন নিজেদের শহরে। সিডনিতে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন কামিন্স।
অলরাউন্ডার মার্শ এখন আইপিএলে শুধুই ব্যাটার
১৩ মার্চ ২৫
বিশ্বকাপ জয়ের ঘোর থেকে এখনও যে বের হতে পারেননি সেটাই জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। এ প্রসঙ্গে কামিন্স বলেন, ‘প্রায় আধা ঘণ্টা পরপরই মনে হচ্ছে বিশ্বকাপ জিতেছি এবং তাতে আবারও উত্তেজিত হয়ে উঠছি। আমরা এখনো (এই জয়ে) মোহগ্রস্ত হয়ে আছি।’
২০২৩ সালটা নিজেদের মনে রাখার মতো কাটিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার জন্য ফেব্রুয়ারিতে দেশ ছেড়েছিলেন কামিন্স-ডেভিড ওয়ার্নার। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতকে শিরোপা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বেন স্টোকসের দলকে হারিয়ে অ্যাশেজও নিজেদের করে নেয়।
এরপর ভারতে দুই মাসের সফরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সঙ্গে খেলেছে বিশ্বকাপ। যেখানে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে অজিরা। কামিন্স জানান, অ্যাশেজ জয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে ভালো কিছু আর প্রত্যাশা করা যায় না। এমন বছর কাটাতে পেরে তৃপ্ত বলে জানান অজি অধিনায়ক।
কামিন্স বলেন, ‘বছরটা আমাদের জন্য দারুণ। সেখানে বিশ্বকাপ জয়ই শীর্ষবিন্দু এবং সেটা অসাধারণ ব্যাপার। আমার মনে হয়, খেলোয়াড়েরা নিজেদের লিগ্যাসি তৈরি করেছে। বিশ্বকাপে চার বছর পরপর খেলার সুযোগ পাওয়া যায় আর সেটা ভারতে হওয়া মানে কঠিন টুর্নামেন্ট। অ্যাশেজ জয় এবং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যোগ করে বলা যায়, এর চেয়ে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যায় না। আমরা খুবই তৃপ্ত।’