২০১১ সালের স্মৃতি পিছু ঠেলে বর্তমানে চোখ রোহিতের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘বিশ্বকাপের পর লোকেরা বলেছিল, তুমি আর ভারতে এসো না’
৩ ঘন্টা আগে
বিশ্বকাপে এখনও অপরাজিত দল ভারত। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে থেকে সেমি ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। গ্রুপ পর্বে টানা দুই হারে তাদের সেমি ফাইনাল খেলার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন অনেকে। এরপর অবশ্য ধারাবাহিক পারফর্ম করেই তারা ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।
এবারের বিশ্বকাপে ভারতের তুলনায় অস্ট্রেলিয়াকে এতোটা ভয়ঙ্কর দল মনে নাও হতে পারে। তবে ফাইনালে তাদের মোটেই হালকাভাবে দেখছেন না ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি বেশ ভালো করেই জানেন অস্ট্রেলিয়া কি করতে পারে। রোহিত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন শিরোপা জিততে হলে আগের দশ ম্যাচের হিসাব বাদ দিয়ে ফাইনাল ম্যাচে ভালো করতে হবে।
ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, ‘মাঠে নেমে ভালো ক্রিকেট খেলতে হয়। তাই গত ১০ ম্যাচে যা করেছি সেসব নিয়ে ভাবছি না। হ্যাঁ, আত্মবিশ্বাসের জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ। তবু আগামীকাল কোনো ভুল করলে গত ১০ ম্যাচে যা করেছি সব জলে যাবে। তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে না ভেবে শান্ত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।’

অস্ট্রেলিয়া দল এতোটা আক্রমণাত্মক নয় এমন প্রশ্নের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে রোহিত বলেন, ‘দলটা প্রভাব জাগানিয়া নয়, এই কথার সঙ্গে আমি একমত নই। তারা নিজেদের সর্বশেষ ৮ ম্যাচের সবগুলোই জিতেছে। আর ভালোও খেলেছে। তাই (ফাইনালে) প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা দারুণ হবে। দুই দলই ফাইনালে ওঠার যোগ্য এবং আমরা জানি অস্ট্রেলিয়া কী করতে পারে।’
অস্ট্রেলিয়ায় ‘বাজবল’ ঝুঁকিপূর্ণ হবে, দাবি ওয়ার্নারের
২ ঘন্টা আগে
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। সেবার সৌরভ গাঙ্গুলির দলকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল অজিরা। এরপর অবশ্য ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ঠিকই বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেই দলে রোহিত অবশ্য জায়গা পাননি। রোহিতের অবশ্য আক্ষেপ না থাকারই কথা।
কারণ এক যুগ পর তার হাত ধরেই আরেকটি ফাইনালে নাম লিখিয়েছে ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে ভারতের ক্রিকেটে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে রোহিতের নামও। রোহিত অবশ্য ২০১১ এর স্মৃতি মন থেকে ঝেড়ে ফেলে ফাইনালেই মনোযোগ রাখতে চাইছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমি অতীতে ফেরত যেতে চাই না। সময়টা খুবই আবেগময় ছিল। আমি নিশ্চিত সবাই সে সম্পর্কে জানেও। খুব কঠিন সময়। এখন নিজেকে সুখী লাগছে। এমন একটা মঞ্চ পর্যন্ত এসেছি যেখানে আমার নেতৃত্বে দল ফাইনাল খেলবে। এমন কিছু হবে তা কখনো ভাবিনি। তবে মনেপ্রাণে চাইলে ইচ্ছাপূরণ হয়, বড় স্বপ্নও দেখতে হয়।’
ফাইনালের আগে রোহিত যেন ফুরফুরে মেজাজের কথাই আবার স্মরণ করিয়ে দিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি গুরুত্বটা জানি। তাই শান্ত ও ফুরফুরে মেজাজে আছি। ২০১১ সালে কী ঘটেছিল কিংবা আগামীকাল কী হবে তা ভেবে আবেগপ্রবণ হতে চাই না। এই বিশ্বকাপ শুরুর সময় (দলের ভেতর) যে পরিবেশ তৈরি করেছিলাম (ফাইনালে) সেটারই পুনরাবৃত্তি করতে চাই। সবাই ভালো ফর্মে আছে। এটা ধরে রাখতে চাই। যেটা বলে এসেছি, নিজেদের বড় কিছু মনে করতে চাই না, আবারও ছোটও ভাবতে চাই না। ভারসাম্যটা ধরে রেখে কাজটা ঠিকঠাকমতো করতে চাই।’