|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আরো পড়ুন

‘বিকল্প আছে কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেমন করবে আগে থেকে বলা মুশকিল’

২২ ঘন্টা আগে

বাংলাদেশের প্রধান কোচ থাকাকালীন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিমদের ব্যাটিংয়ে বেশ ভালোভাবেই অবদান রেখেছিলেন জেমি সিডন্স। পুরনো সাফল্যের আশায় অ্যাশওয়েল প্রিন্স দায়িত্ব ছাড়ার পর সিডন্সকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ফেরানো হয় ব্যাটিং কোচ হিসেবে।

যদিও শুরু থেকেই সিডন্সের আগ্রহ ছিল তরুণদের নিয়ে কাজ করা। চান্ডিকা হাথুরুসিংহে প্রধান কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর জাতীয় দল থেকে সরিয়ে দেয়া হয় সিডন্সকে। ভবিষ্যতের সাকিব-মুশফিকদের তৈরি করার জন্য বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও বাংলাদেশ টাইগার্সের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে।

বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ব্যাটিং পরামর্শকেরও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে পা রাখা সিডন্সের চাকরির মেয়াদ ছিল চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত। চাকরির মেয়াদ শেষ হতে এখনও ১২ দিন বাকি।

বাংলাদেশের নিজের চাকরির সময় শেষ হওয়ার আগেই অস্ট্রেলিয়া ফিরে গেছেন তিনি। আপাতত বিসিবির সঙ্গে কোনো চুক্তিতে থাকছেন না সিডন্স। তবে বিসিবির প্রয়োজনে আবারও বাংলাদেশে ফিরতে পারেন সিডন্স। এমনটাই জানা গেছে।

সিডন্সের চুক্তির মেয়াদ নিয়ে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, 'জেমি সিডন্স এখন আর আমাদের সঙ্গে নেই। প্রোগ্রাম যখন থাকে তখন মনে হয় তাকে ডাকা হয়। এভাবেই তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে বা মাসিক চুক্তি হয়েছে কিনা আমি জানি না। আমি যতটুকু জানি বছরে কতদিনের জন্য কাজ করবে এই ব্যাপারে চুক্তি আছে।'

এর আগে ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন সিডন্স। সেই সময় সাকি??-তামিম-মুশফিকদের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের গড়ে তোলার পেছনে বড় অবদান রেখেছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান কোচ। অবশ্য ২০১১ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তার সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করেনি বিসিবি।