ফাইনালে পৌঁছাতে ‘খরুচে ওভার’ আটকাতে চান ফার্গুসন

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না ফার্গুসনের, বদলি জেমিসন
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
চলতি বিশ্বকাপের ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছে ভারতীয় ব্যাটাররা। প্রায় প্রতি ম্যাচেই প্রতিপক্ষ বোলারদের উড়িয়ে দিয়ে রানের পাহাড় গড়ছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। এবার তাদের বিপক্ষেই সেমিফাইনাল খেলতে মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ড। তবে ছন্দে থাকা এই ব্যাটারদের ম্যাচের দিন আগ্রাসী হতে না দেয়াই পরিকল্পনা করছেন কিউই পেসার লকি ফার্গুসন।
নিউজিল্যান্ড শেষ চার বিশ্বকাপে শিরোপা না জিতলেও ফাইনাল খেলেছে টানা দুবার। যেখানে শেষ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও দলটির প্রতিপক্ষ ছিলো ভারত। সেই ম্যাচে বিরাট কোহলির ছন্দে থাকা দলকে ১৮ রানে হারিয়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। অবশ্য ফাইনালে সুপার ওভারের নাটকীয়তার পর হারতে হয় কিউইদের। সেই ধাক্কা সামলে আরও একবার সেমিতে উঠল দলটি।

এই নিয়ে টানা পাঁচবার সেমিফাইনাল খেলতে যাচ্ছে কিউইরা। এর আগে প্রথমবার ২০০৭ সালে দলটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলে। পরেরবার ২০১১ সালেও লঙ্কানরা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের। তবে সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে দলটি প্রথমবারের মতো ২০১৫ সালে ফাইনাল উঠে। এরপর ২০১৯ সালেও তারা ফাইনাল খেলে তবে টানা দুবারই ব্যর্থ হয় তারা। এবার সুযোগ থাকছে টানা তৃতীয়বারের মত ফাইনাল খেলার।
অশ্বিনের চোখে বরুণই ছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা
১১ মার্চ ২৫
বিশ্ব আসরে এমন ধারাবাহিক সাফল্য নিয়ে কথা বলছেন ফার্গুসন। তিনি বলেন, 'আমরা নিজেদের প্রক্রিয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকি। আমি জানি এটা শুনতে একটু অন্য রকম লাগছে। তবে আমদের মাথায় এটাই সব সময় থাকে। এমনকি কিউই হিসাবে আমরা আমাদের পা যেখানে আছে, সেখানে রাখার চেষ্টা করি। আমি মনে করি এটা ইতিবাচক ব্যাপার।'
এদিকে চলতি বিশ্বকাপে ব্যাট হাঁতে দারুণ ছন্দে আছে ভারতীয় ব্যাটাররা। দলের দুই ওপেনার রোহিত ও শুভমান গিল ছাড়াও কোহলি, শ্রেয়াস আইয়াররাও নিয়মিত রান পাচ্ছেন। ফলে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে তাদের থামানোটা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটাও জানেন ফার্গুসন। যেখানে ওয়াংখেড়েতে ব্যাটাররা পেয়ে থাকেন বাড়তি সুবিধা। তবে ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে খরুচে ওভার দিতে নারাজ ফার্গুসন।
ম্যাচের পরিকল্পনা নিয়ে ফার্গুসন বলেন, 'আগে বুঝতে হবে পিচ কেমন হবে এবং কত রান করলে এই মাঠের জন্য ভালো হবে। আসলে ওই বড় ওভারগুলো...যেখানে ১০ রান করে (ওভারে) দেয়াটা আপনাকে ইনিংসের শেষের দিকে চাপে ফেলতে পারে। সুতরাং, বোলিং দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা সেই বড় ওভারগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করছি... এটি একটি অভিজ্ঞতার বিষয়, একটি মূল্যায়নের বিষয়।'
অবশ্য উইকেট যেমনই হোক নিজেদের সেখানে মানিয়ে নিতি চান এই পেসার। তিনি বলেন, 'পিচ ভিন্ন ভিন্ন হবে, এটাই ক্রিকেটের একটা মজার ব্যাপার। আমরা প্রতি বারই ভিন্ন পিচে খেলি, তাই দু'দিনের মধ্যে সেটা বুঝতে পারাটা কঠিন। তবে বুধবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।'