|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আরো পড়ুন

দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট

৬ ফেব্রুয়ারি ২৫

এক সময় বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ধরা হতো মোসাদ্দেক হোসেনকে। তিন ফরম্যাটের দলেই একসময় নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। যদিও সময়ের পরিক্রমায় এখন জাতীয় দলের বাইরে এই অলরাউন্ডার। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সেও নির্বাচকদের নজর কাড়তে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। 

২০২৩ বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে বাংলাদেশ দলের। সামনে ২০২৭ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এখন থেকেই নতুনভাবে দল সাজানোর তাগিদ দিয়েছেন অনেকে। মোসাদ্দেকও সেই ভাবনার পালে হাওয়া দিচ্ছেন। জানিয়েছেন আবারও জাতীয় দলে ফেরার অপেক্ষায় আছেন তিনি। এখনও বাংলাদেশ দলের জন্য দেয়ার আছে অনেক কিছু।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মোসাদ্দেক বলেন, ‘আগে তো ফিট হতে হবে। রিকভার করতে হবে। অবশ্যই কাজ করছি জাতীয় দলে খেলার জন্যই। কোনো একটি টুর্নামেন্টকে লক্ষ্য করে শুরু করে সেখানে ভালো করে জাতীয় দলে ফেরা। সেখানে ফিট হওয়া, কাজ করা, চেষ্টা করা সবকিছু জাতীয় দলের জন্যই। যত ভালো সার্ভিস জাতীয় দলকে দিতে পারি এখনও অনেক কিছু দেয়ার আছে দলকে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সামনে ভালো করে দলকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব।’

আরো পড়ুন

পরের প্রজন্মের জন্য ট্রফি জিততে চান মিরাজ

৫ ঘন্টা আগে

নিজের সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে একাই অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মোসাদ্দেক। বিশেষ করে নিজের ফিটনেসকে আরও উপরের দিকে নিয়ে যেতে চান এই অলরাউন্ডার। সামনের দিনগুলোতে পারফরম্যান্স দিয়ে আবার নজর কাড়ার লক্ষ্য তার।

মোসাদ্দেক বলেছেন, ‘একটু কঠিন আসলে একা একা অনুশীলন করা। এখন মিরপুরে আমরা অনুশীলন করতে পারছি। কোচিং স্টাফ হয়ত সবাই নেই। ইফতি ভাই আছে, ফিজিও হিসেবে সানি ভাই আছেন। উনাদের সাথে কাজ করছি। চেষ্টা করছি আমাদের কিছু থ্রোয়ার আছে তাদের নিয়েই কাজ করছি।’

ফিটনেস ছাড়া জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া এখন অনেক কঠিন। জাতীয় দলে সুযোগ পেতে অনেক তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গেও লড়াইয়ে নামতে হবে এই অলরাউন্ডারকে। মোসাদ্দেক জানিয়েছেন পারফরম্যান্স নয় সম্ভবত টিম কম্বিনেশনের কারণেই দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি।

তার ভাষ্য, ‘আসলে বেশি ম্যাচ খেলতে পারলে হয়ত ভালো পারফরম্যান্স আসত। কারণ তখন অনেক ভালো ছন্দে ছিলাম, ভালো খেলছিলাম। হয়তবা টিম কম্বিনেশনের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছিলাম। এখন চেষ্টা করছি আবার ফেরার। সুযোগ পেলে আরও ভালো খেলার চেষ্টা করব।’