প্রস্তাব পেলে নান্নু-বাশারদের জায়গা নিতে চান আশরাফুল
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিপিএলের মান উন্নয়ন নিয়ে রাজিন-নাফিস-আশরাফুলদের সঙ্গে বিসিবির বৈঠক
১৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
এক যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং হাবিবুল বাশার সুমন। চাকরি হারাচ্ছেন তারা দুজন, দেশের ক্রিকেটে এমন গুঞ্জন উঠেছে বেশ কয়েকবারই। তবে চাকরি হারাতে হয়নি কখনই। লম্বা সময় ধরে তারা থাকা নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তন চান মোহাম্মদ আশরাফুল। সেই সঙ্গেও নিজেও নির্বাচক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
২০১১ সাল থেকে নির্বাচক প্যানেলে আছেন মিনহাজুল এবং বাশার। শুরুতে আকরাম এবং পরবর্তীতে ফারুক আহমেদের সঙ্গে কাজ করেছেন মিনহাজুল। সেই সময় বাশার কাজ করেছেন নারী ক্রিকেটে নির্বাচক হিসেবে। ফারুক পদত্যাগ করায় প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পান মিনহাজুল।
তখন থেকেই জাতীয় নির্বাচক প্যানেলে আছেন বাশারও। পরবর্তীতে এসে বাংলাদেশের নির্বাচক প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। বেশ কয়েকবার চাকরি হারানোর শঙ্কায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত টিকে গেছেন মিনহাজুল ও বাশার। এবারের বিশ্বকাপে ভালো না করায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পারেন তারা দুজন। এমন গুঞ্জন আছে মিডিয়ায়।

তাদের অধীনে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভালো করলেও আইসিসির সবশেষ তিন টুর্নামেন্টে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি বাংলাদেশ। অন্য সবার মতো নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তন চান আশরাফুলও। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, একই মানুষ এত সময় ধরে কাজ করলে চিন্তা-ভাবনায় তেমন পরিবর্তন হয় না। যার ফলে সবকিছু একটা জায়গায় আটকে থাকে।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নতুন নির্বাচক প্যানেল চেয়ে আশরাফুল বলেন, ‘একটা মানুষ আসলে ১২ বছর ধরে আছেন, একই চিন্তা-ভাবনা হবে এটা আমার কাছে মনে হয়। শুধু আমি না বিশ্বের সব জায়গায়। আমি এটা আরেকবার বলেছিলাম তখন তিনি উদাহরণ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার একজন নাকি ১২-১৩ বছর ছিলেন। তখন কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ১৬টা টেস্ট ম্যাচ জিতেছিলেন। আমাদের যদি হিসেব করেন সবশেষ তিনটা আইসিসি ইভেন্টে কিন্তু ভালো হয়নি। অবশ্যই নতুন ব্রেইন দরকার।’
বর্তমান নির্বাচক প্যানেলের কাজের ধরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আশরাফুল। প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে এনে তারপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত করা যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রথাগত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম থেকে শুরু করে বর্তমানের লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত। সবাইকে একই প্রক্রিয়ায় জাতীয় দলে থিতু করেছে বোর্ড।
প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে না পারলেও প্রথম কয়েক বছরে জাতীয় দলে ধারাবাহিকভাবে সুযোগ দিয়েছেন নির্বাচকরা। একটা সময় এসে তারা পারফর্ম করতে শুরু করেছেন। এমন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন চান আশরাফু??। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক অধিনায়ক মনে করেন, কেউ ৬ মাস কিংবা এক বছর সার্ভিস দিতে পারলে তাদেরও নির্বাচন করা উচিত।
এ প্রসঙ্গে আশরাফুল বলেন, ‘যারা আছেন তাদের ওইভাবে চিন্তা করা উচিত আমরা যদি একটা ছেলের কাছে থেকে ৬ মাস বা এক বছরও সার্ভিস পাই ওই খেলোয়াড়কেও আমরা নির্বাচন করব। আমাদের নির্বাচকরা এমনভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়াটা করে যার কাছ থেকে আমরা ১০-১২ বছর পাব। প্রথম ৪-৫ বছর সে খারাপ খেলুক সমস্যা নেই, তারপরে ৫ বছর ভালো খেলবে। এভাবে চিন্তা করে তারা নির্বাচনটা করেন।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা একেবারেই নেই আশরাফুল। এবারের মৌসুমের পর থেকে দেখা যাবে না ঘরোয়া ক্রিকেটেও। তবে খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকতে চান তিনি। নির্বাচকের প্রস্তাব পেলে সেটাও ভেবে দেখতে চান বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
নির্বাচকের প্রস্তাব পেলে দায়িত্ব নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফুল বলেন, ‘যেহেতু আমি ২৬-২৭ বছর ধরে খেলছি এবং আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনাও ক্রিকেটের সঙ্গে থাকা। অবশ্যই, যদি এমন পরিস্থিতি আসে আমি চিন্তা করব।’