নিজের খারাপ সময় অনুভব করতে পারছেন না হৃদয়

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ব্যাটিং ব্যর্থতায় মোহামেডানের কাছে হারল রূপগঞ্জ
১৯ ঘন্টা আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্বপ্নের মতো শুরু করেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিলেন তিনি। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে ভালোর মতো খারাপ সময়ও দেখতে হয়েছে তাকে। বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে সুযোগ পেলেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি তিনি। ব্যাট হাতে সময়টা খারাপই যাচ্ছে তার। তবে নিজের খারাপ সময় অনুভব করতে পারছেন না হৃদয়।
বাংলাদেশের জার্সিতে শুরুটা ভালো করায় হৃদয়কে নিয়ে প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। তবে এশিয়া কাপের আগে নিজের ছন্দে হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। যদিও শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেরার আভাস দেন। কিন্তু বিশ্বকাপে এসে ব্যাট হাতে তেমন কিছুই করতে পারেননি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগ মেলেনি হৃদয়ের।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৬১ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ১৩ রান। ভারতের বিপক্ষে ৩৫ বলে ১৬ রান করে ফিরলে সাউথ আফ্রিকা ম্যাচে একাদশ থেকে জায়গা হারান হৃদয়। একাদশে জায়গা পাননি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও। পাকিস্তানের সঙ্গে ফিরে ৭ রান করা হৃদয় শ্রীলঙ্কার সাথে অপরাজিত ছিলেন ১৫ রানে।
পরের প্রজন্মের জন্য ট্রফি জিততে চান মিরাজ
১৩ ঘন্টা আগে
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ২২.৫০ গড়ে করেছেন মোটে ৯০ রান। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ৬৮.৭০। তবুও এটিকে নিজের খারাপ সময় হিসেবে বিবেচনা করতে নারাজ হৃদয়, ‘খারাপ সময় যাচ্ছে এটা আমি নিজে অনুভব করি না। দলের সমন্বয়ের কারণে উপরে-নিচে ব্যাট করছি। সবারই আশা আছে, আমারও থাকবে। আমিও চেষ্টা করি দলকে দেয়ার জন্য। আমি আগেও বলেছি সাতে ব্যাট করছি এটা আমার কাছে ম্যাটার করে না। আমি এশিয়া কাপেও বলেছিলাম দলের প্রয়োজনে যদি নিচে খেলতে হয় নিচে খেলব। সুযোগগুলো আসলে কাজে লাগাব।’
শুধু হৃদয় নন, এবারের বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছাড়া বাকি কেউই প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। লিটন দাস দুইশ পেরোনো রান করলেও ঘোচানো যায়নি ব্যাটারদের ব্যর্থতা। ব্যাটারদের বাজে ফর্মের কারণে বাংলাদেশও দল হিসেবে ভালো করতে পারেনি। আফগানিস্তানের কাছে জয়ের পর টানা ছয় ম্যাচে হারতে হয়েছে সাকিব আল হাসানের দলকে।
যদিও শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ এক জয় পেয়েছে। যা চলে গেছে তা নিয়ে কথা বলতে চান না হৃদয়। তিনি বলেন, ‘যেটা চলে গিয়েছে সেটা নিয়ে বলতে চাই না। আমরা ভালো করিনি দেখে আমাদের দলের ফল হয়নি। বড় রান করতে গেলে বা তাড়া করতে উপর থেকে যদি একশো বা ৮০ রান দরকার। এই জিনিসটা সামনে করতে পারলে ভালো হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হবে বাংলাদেশের। অজিদের বিপক্ষে ভালো করতে চান হৃদয়। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাব। প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সফল হওয়ার চেষ্টা করব। চ্যালেঞ্জ শুধু অস্ট্রেলিয়া বা তাদের পেসার না। প্রতিটা দলই ভালো আলাদা কিছু না। আগেও বলেছি প্রক্রিয়ার ভেতরে যতটা পারি ততটা ভালো করার চেষ্টা করব।’