অতিমানবীয় ইনিংসে আফগানিস্তানের জয় কেড়ে নিলেন ম্যাক্সওয়েল

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এত দ্রুত সবকিছু ঘটবে, তা ভাবিনি: স্টার্ক
১৫ জুলাই ২৫
আফগানিস্তানের দেয়া ২৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৯ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর দলীয় ৯১ রানের মধ্যে নেই আরও তিন উইকেট। এমন অবস্থায় অনেকে আরেকটি আফগান রূপকথার গল্প দেখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
কিন্তু এই ধ্বংসস্তূপ থেকেই অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে ইতিহাস গড়েছেন গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। অষ্টম উইকেট জুটিতে প্যাট কামিন্সকে নিয়ে ম্যাক্সওয়েল ২০২ রানের জুটি গড়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ১২ রান এসেছে কামিস্নের ব্যাট থেকে। বাকি সব রানই ম্যাক্সওয়েলের।
৭৬ বলে পেয়েছেন বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরিকে দেড়শ বানাতে তার লেগেছে ১০৪ বল। আর ১২৮ বলে ডাবল সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ইনিংস জুড়ে ১০টি ছক্কা আর ২১টি চারে এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়ার সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এর আগে ওয়াংখেরেতে এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহীদি। শুরুটা দেখেশুনেই করেছিলেন দুই ওপেনার ইব্রাহিম ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে জশ হ্যাজলউডের বল ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিচেল স্টার্কের হাতে। ফলে ২১ রান করেই তাকে সাজঘরে ফিরতে হয়।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
১৮ জুলাই ২৫
এরপর উইকেটে আসা নতুন ব্যাটার রহমত শাহকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন ইব্রাহীম। এই দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে তোলেন ৮৩ রান। এই জুটি ভেঙ্গেছেন গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। রহমত লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে জস হ্যাজেলউডের হাতে ধরা পড়েছেন ৪৪ বলে ৩০ রান করে।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক শাহীদিকে নিয়ে আবারও ৫২ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহীম। অবশ্য মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে শেষ হয় শহীদির ২৬ রানের ইনিংস। উইকেটে এসে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা আজমতউল্লাহ ওমরজাই আউট হন জাম্পার বলে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।
এরপর মোহাম্মদ নবি ১২ রান করে ফিরলেও রশিদকে নিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন ইব্রাহীম। এই আফগান ওপেনার তার ইনিংস জুড়ে ৩টি ছক্কা ও ৮টি চারের মার মেরেছেন। রশিদ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ৩৫ রান করে। ইনিংস জুড়ে ৩টি ছক্কার পাশাপাশি রশিদ মেরেছেন ২টি চার।