‘এই মঞ্চে অজুহাত দেখানোটা ম্যাথিউসের অপেশাদারিত্ব’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ হার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২৫
বাংলাদেশের বিপক্ষে টাইমড আউট হওয়ার পরেও সহজে মাঠ ছাড়ছিলেন না অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। বরঞ্চ আম্পায়ার এবং সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যুক্তিতর্কে মেতেছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষেও পুরো বিষয়টিকে 'অসম্মানজনক' বলেছেন এই অলরাউন্ডার। যদিও ইমরুল কায়েসের মতে, বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে এসব অজুহাত দেখানো উচিত হয়নি ম্যাথিউসের। তার এমন কর্মকে অপেশাদারিত্ব হিসেবেই দেখছেন ইমরুল।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার এই ম্যাচে ম্যাথিউস যে হেলমেট নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন সেটা নিয়ে অস্বস্তি বোধ করছিলেন তিনি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় যে ফিতা দিয়ে হেলমেট আটকে রাখা হয় সেটি কাজ করছিল না। পরের আরেকটি হেলমেট আনা হয়। সেটিও পছন্দ হয়নি এই লঙ্কান ব্যাটারের। এসব করতে করতে নির্ধারিত দুই মিনিট অতিক্রম করে ফেলেন ম্যাথিউস।

ক্রিকফ্রেঞ্জি লাইভে এ নিয়ে ইমরুল বলেন, 'যখন প্রথম দুই ব্যাটার নামবে তখন কিছু পরের দুই ব্যাটার প্রস্তুত থাকে। তিন চারে যারা খেলে ওরা প্রস্তুত থাকে। তার গ্লাভস কোথায় থাকে, প্যাড কোথায় থাকে, হেলমেট প্রস্তুত আছে কিনা এটা ব্যক্তিগতভাবে সবারই প্রস্তুত থাকে। আমরা যদি এই মঞ্চে এসে অজুহাত দেখাই, যে আমার হেলমেট প্রস্তুত ছিল না, স্ট্র্যাপ রেডি ছিল না। এটা অপেশাদার। এটা পেশাদার ক্রিকেটে আসে না।'
এবারের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলে শুরু থেকে ছিলেন না ম্যাথিউস। বিশ্বকাপ শুরুর পর লঙ্কানদের নিয়মিত অধিনায়ক দাসুন শানাকা ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে গেলে তার জায়গায় খেলতে আসেন ম্যাথিউস। কয়েকটি ম্যাচ খেলেও ফেলেছেন তিনি। তাই তার সবকিছু প্রস্তুত থাকা উচিত ছিল বলে মনে করেন ইমরুল।
তিনি আরও বলেন, 'এমন নয় যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস একটি ম্যাচ খেলছে, সে বিশ্বকাপে অনেক ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এমন না যে ম্যাথিউস বিশ্বকাপের মাঝপথে এসেছে, শ্রীলঙ্কায় ছিল বা সে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছে; সে নিজেও জানে না যে তার হেলমেটের স্ট্র্যাপের কি অবস্থা। সেটা ভিন্ন কথা। সে কিন্তু শেষ কয়েকটি ম্যাচে খেলেছে।'
'এই জায়গা থেকে বললে আসলে অজুহাত দেয়ার কিছু নাই। এখানে পেশাদারিত্বের বিষয় আছে। সাকিব সাকিবের পেশাদার জায়গা দেখেছে, আম্পায়াররাও দেখেছে তাদের পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে। এগুলো নিয়ে অনেক কথা হবে। লাভ নেই। দিন শেষে বাংলাদেশ সুবিধা পেয়েছে এবং সেটি নিয়েছে।'