যুদ্ধে নামলে সবকিছুর আগে জয়: সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না’
১৩ মার্চ ২৫
স্বপ্নের বিশ্বকাপ, অথচ হারের বৃত্তে ডুবে থাকতে থাকতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল বাংলাদেশের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততেই হতো সাকিব আল হাসানের দলকে। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়েছে জয়ও তুলে নিয়েছে টাইগাররা। এদিন বাংলাদেশের জয় নিয়ে যতটা না আলোচনা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি কথা হচ্ছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের হওয়া ‘টাইমড আউট’ নিয়ে।
ঘটনাটি শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ইনিংসের ২৫তম ওভারে। নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসেছিলেন ম্যাথিউস। ব্যাটিং করার জন্য যখন প্রস্তুত হচ্ছিলেন তখন দেখেন তার হেলমেটের স্ট্র্যাপ ছেঁড়া। যার ফলে ড্রেসিংরুমের দিকে ইশারা করে নতুন একটি হেলমেট আনতে বলেন। হেলমেট আনতে খানিকটা দেরি করেছিলেন অতিরিক্ত খেলোয়াড়। এই সময় আউটের জন্য আবেদন করে বাংলাদেশ।

ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, কোন ব্যাটার আউট কিংবা রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার পর নতুন ব্যাটারকে তিন মিনিটের মাঝে ব্যাটিং গার্ড নিতে হবে। বিশ্বকাপে অবশ্য সময়টা দুই মিনিট। সেটা করতে না করলে নতুন ব্যাটার ‘টাইমড আউট’ হিসেবে বিবেচিত হন। ম্যাথিউস নির্ধারিত সময়ের মাঝে ব্যাটিং করতে না পারায় তাকে আউট দেন আম্পায়ার। বোলার ও অধিনায়ক হওয়ায় আউটের আবেদন করেছিলেন সাকিব। যা নিয়ে পুরো দিন জুড়ে চলেছে তর্ক-বিতর্ক।
ম্যাচ শেষে সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাঁচা-মরার ম্যাচ না হলে এমনটা করতেন কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘করতাম কিনা জানি না। কিন্তু আজকের ম্যাচে আমাদের জিততেই হতো। আমরা যদি যুদ্ধে নামি, যুদ্ধে আপনি আপনার দলকে কিংবা আপনার দেশকে জেতানোর জন্য সবকিছু করতে রাজি থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। তো সেটাই আমি করেছি।’
মাঠে আসলে তখন কি ঘটেছিল সেটা পুরোপুরি ব্যাখ্যা করেছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন ফিল্ডার এসে আমাকে বলল আপনি যদি আবেদন করেন তাহলে নিয়ম অনুযায়ী সে আউট। সে সময়ের মাঝে গার্ড নিতে পারেনি। এরপর আমি আম্পায়ারকে জানালাম। আম্পায়ার আমাকে বলল সে আউট কিন্তু তুমি তাকে ফিরিয়ে আনতে চাও কিনা। আমি বললাম না ফিরিয়ে আনতে চাই না। আমি তার সঙ্গে যুব বিশ্বকাপ খেলেছি। অ্যাঞ্জেলোকে আমি অনেকদিন ধরে চিনি, ২০০৬ সাল থেকে। এটা দুর্ভাগ্যজনক কিন্তু নিয়মে আছে।’
আম্পায়ার আউট দেয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ তার সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন ম্যাথিউস। শুধু আম্পায়ার নয় এক সময় গিয়ে বাংলাদেশের অধিনায়কের সঙ্গেও কথা বলেছেন। সাকিবের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি এই আউটের আবেদন তুলে নেবেন কিনা। যদিও সাকিবকে ম্যাথিউসের প্রস্তাব নাখোচ করে দেন।
ম্যাথিউসের সঙ্গে কথোপকথন নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি তাকে বেশ ভালোভাবে চিনি, সেও আমাকে চেনে। সে আমার কাছে জানতে চেয়েছিল তুমি কি আবেদন তুলে নিতে চাও নাকি চাও না। আমি তাকে বলেছি, ‘আমি তোমার পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছি। এটা দুর্ভাগ্যজনক কিন্তু আমি আবেদন তুলে নিচ্ছি ন???।’