কোহলির জন্মদিন রাঙানো সেঞ্চুরির পর জাদেজা ম্যাজিকে অপরাজেয় ভারত

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পিএসএলকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে আইপিএলে খেলবেন বশ
৮ মার্চ ২৫
ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডে শচীন টেন্ডুলকারের পাশে বসার খুব কাছেই ছিলেন বিরাট কোহলি। এবারের বিশ্বকাপে তিন সেঞ্চুরি মিস করা কোহলির অপেক্ষা বেড়েই চলছিল। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সেই অপেক্ষা ফুরিয়েছে কোহলির। নিজের ৩৫তম জন্মদিনে ছুঁয়েছেন শচীনকে। কোহলির জন্মদিন রাঙানো সেঞ্চুরির পর বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। বাঁহাতি এই স্পিনারের স্পিন জালে ফেঁসে ৮৩ রানে অল আউট হয় সাউথ আফ্রিকা। জাদেজা ৫ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং অর্ডার গুঁড়িয়ে দিলে ভারত জয় পায় ২৪৩ রানে।
কলকাতায় ৩২৭ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি সাউথ আফ্রিকার। দারুণ ছন্দে থাকলেও এদিন ব্যাট হাতে রানের দেখা পাননি কুইন্টন ডি কক। মোহাম্মদ সিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়ে ফিরে যান বাঁহাতি এই ওপেনার। ডি ককের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৫ রান। আরেক ওপেনার টেম্বা বাভুমাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন সাউথ আফ্রিকার অধিনায়ক। বিশ্বকাপে এখনও নিজের ছন্দ খুঁজে না পাওয়া বাভুমা এদিন ফিরে গেছেন ১১ রান করে। চারে নেমে শুরুর বিপর্যয় সামাল দিতে পারেননি এইডেন মার্করাম। বরং মোহাম্মদ শামির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে লোকেশ রাহুলের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে প্রোটিয়াদের বিপদ বাড়িয়েছেন। মার্করাম করেছেন ৯ রান।

এদিন শুরু থেকেই ভুগছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন। নিজের ছন্দ খুঁজে পাওয়ার আগেই ক্লাসেনকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন জাদেজা। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েছেন। থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি রাসি ভ্যান ডার ডাসেন। ৩২ বলে ১৩ রানে করে ফিরে গেছেন শামির বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে।
২০২১ বিশ্বকাপের পর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল বরুনকে
৩ ঘন্টা আগে
৪০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ডেভিড মিলারও সাজঘরের পথে হেঁটেছেন ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করে। জাদেজার স্টাম্পের বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন। শেষ দিকে কেউই সেভাবে দাঁড়াতে না পারলে সাউথ আফ্রিকাকে হারতে হয়েছে ২৪৩ রানে। ভারতের হয়ে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শামি ও কুলদীপ যাদব।
এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। দুজনে মিলে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৬২ রান। গিলের চেয়ে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন রোহিত। তিনি ২৪ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন।
কাগিসো রাবাদার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে তিনি মিড অফে ধরা পড়েছেন টেম্বা বাভুমার হাতে। ২৩ রান করা গিল বোল্ড হয়েছেন কেশভ মহারাজের টসড আপ ডেলিভারিতে। গিল এক পা বাড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে বলের লাইন মিস করেন তিনি। আর বল আঘাত করে লেগ স্টাম্পের উপরে থাকা স্টাম্পে।
তৃতীয় উইকেটে কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার মিলে যোগ করেন ১৩৪ রান। আইয়ার লুঙ্গি এনগিদির করা কাটারে এজ হয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছেন এইডেন মার্করামের হাতে। আউট হওয়ার আগে ৮৭ বলে ৭৭ রান করে আউট হন।
এরপর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি লোকেশ রাহুল মাত্র ৮ রান করে আউট হয়ে যান। সূর্যকুমার যাদব আউট হয়েছেন ২২ রান করে। অবশ্য রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৯তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন কোহলি। তিন অঙ্কে পৌঁছাতে এই ভারতীয় ব্যাটার খেলেছেন ১১৯ বল। শেষ পর্যন্ত এই দুজনের ব্যাটেই বড় পুঁজি নিশ্চিত করেছে ভারত।