promotional_ad

পাকিস্তানের জয়ে বাংলাদেশের বিদায়

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

পরের প্রজন্মের জন্য ট্রফি জিততে চান মিরাজ

২২ ঘন্টা আগে
মোহামেডানের জার্সিতে মেহেদী হাসান মিরাজ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

পাওয়ার প্লেতে দ্রুত উইকেট হারানোর পর হাল ধরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাস। তারা দুজন ফেরার পর সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ চেষ্টা করলেও পথের দিশা পায়নি বাংলাদেশের। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় আব্দুল্লাহ শফিক ও ফখর জামানের হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ের পথেই ছিল পাকিস্তান। তাদের দুজনের ব্যাটে শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে মিরাজ ৩ উইকেট নিলেও সেটা বাংলাদেশের খুব বেশি কাজে দেয়নি। তাতে করে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হারতে হয়েছে সাকিবের দলকে। শুধু তাই নয় সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। কাগজে-কলমে আর কোনো সুযোগ নেই টাইগারদের।


২০৫ রান তাড়া করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ ও ফখর। তবে সময় যত বেড়েছে তাদের দুজনের রান তোলার গতি ততই বেড়েছে। তাতে করে পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়ে ৫২ রান তোলে পাকিস্তান। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরও থামানো যায়নি তাদের দুজনকে। তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজদের ব্যর্থতায় সাকিব বোলিংয়েও আসলেও দেখা মেলেনি উইকেটের।


উইকেটের আশায় শেষ পর্যন্ত নাজমুল হোসেন শান্তর হাতেও বল তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। যদিও সাফল্য পাওয়া যায়নি। অসুস্থতা ও অফ ফর্মের কারণে মাঝে কয়েক ম্যাচ একাদশের বাইরে ছিলেন ফখর। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইমাম উল হকের জায়গায় খেলতে নেমে পেয়েছেন দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি। তাসকিনের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মেরে ৫১ বলে হাফ পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ফখর।


একই ওভারে ফখরের আগে ৫৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ। হাফ সেঞ্চুরির পর দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উইকেট দিয়েছেন ডানহাতি এই ওপেনার। মিরাজের বলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন আব্দুল্লাহ। রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি ৬৮ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটারের। তিনে নামা বাবর আজমকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মিরাজ। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৯ রান করা বাবর।


দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উইকেট দিয়েছেন ফখরও। মিরাজের বলে ‍স্লগ সুইপ করতে গিয়ে হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তাতে করে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে ৮১ রানের ইনিংস খেলা ফখরকে। শেষ দিকে পাকিস্তানকে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদ। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ।



promotional_ad

এর আগে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ বলে তানজিদ হাসান তামিমকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা তার শততম উইকেট। আফ্রিদির হালকা ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিটি ব্যাটে লাগাতে পারেননি তানজিদ।


আরো পড়ুন

৯১ রানে অলআউট পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড জিতল ১০ ওভারে

৯ ঘন্টা আগে
রিভার্স সুইপ খেলছেন আঘা সালমান

ফলে বল প্যাডে আঘাত করে। ফিল্ডারদের আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। কিছুক্ষণ ভেবে এবং লিটন দাসের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউ নেন তানজিদ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বলের পিচিং ও ইমপ্যাক্ট ঠিক ছিল, যদিও হিটিংয়ে ছিল আম্পায়ার্স কল। আর তাই রিভিউ বাঁচলেও ফিরতে হয় তানজিদকে। নিজের পরের ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তকেও ফেরান আফ্রিদি।


আফ্রিদির ফুল লেংথ ডেলিভারি ফ্লিক করতে গিয়ে মিস টাইমিং করেন শান্ত। শর্ট মিড উইকেটে দারুণ ক্যাচ নিয়ে তিন বলে চার রান করা শান্তর বিদায় নিশ্চিত করেন উসামা মীর। ষষ্ঠ ওভারে বল হাতে নিয়ে চারটি বাউন্ডারি হজম করেন হারিস রউফ। সেই ওভারে চারে নামা মুশফিকুর রহিমকে ফেরান হারিস। হারিসের গুড লেংথের ডেলিভারিটি ব্লক করতে গিয়েও ঠিকমতো করতে পারেননি মুশফিক।


বলটি তার ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে চলে যায়। ৯ বলে ৫ রান করে ফিরেন মুশফিক। ২৩ রানে তিন উইকেট হারানোর পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং লিটন দাসের ব্যাটে চাপ কাটিয়ে উঠে দলটি। ৭৫ রানের জুটি গড়ে ফেলেন এই দুজন। দুজনের এই জুটি ভাঙেন ইফতিখার আহমেদ। ৩০ রানে জীবন পাওয়া লিটন ৬৪ বলে ৪৫ রান করে ইফতিখারের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন।


লোপ্পা ক্যাচটি লুফে নিতে একটুও ভুল করেননি আঘা সালমানও। আউট হওয়ার পর অন্তত ২০ সেকেন্ড অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন লিটন। যদিও সহজ ভুলে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ১০২ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটন ফেরার একটু পরই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৫৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এবারের বিশ্বকাপে অসাধারণ ফর্মে থাকা মাহমুদউল্লাহ।


হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। শাহীন শাহ আফ্রিদির লেংথ ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে মিডল স্টাম্পে পড়া বল বেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ৫৬ রানের ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ। এদিকে টিকতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়ও। উসামা মীরের বলে আউট হয়েছেন ৭ রান করা এই ব্যাটার। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে রয়েসয়ে খেলে রান তুলছিলেন সাকিব। যদিও ৪০তম ওভারে ফিরে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক।



৬৪ বলে চারটি চারে ৪৩ রান করে হারিসকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে সালমানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। সাকিবের ইনিংসে ছিল চারটি চার, যার তিনটিই ইফতিখারের একই ওভারের প্রথম তিন বলে আসে। এদিকে মিরাজ ২৫ রান করে ফেরার পর বেশিক্ষণ টেকেনি বাংলাদেশের ইনিংস। ওয়াসিম জুনিয়রের দারুণ বোলিংয়ে দ্রুতই শেষ ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা।


সংক্ষিপ্ত স্কোর-

বাংলাদেশ-
২০৪/১০ (৪৫.১ ওভার) (মাহমুদউল্লাহ ৫৬, লিটন ৪৫, সাকিব ৪৩; আফ্রিদি ৩/২৩)


পাকিস্তান-  ২০৫/৩ (৩২.৩ ওভার) (আব্দুল্লাহ শফিক ৬৮, ফখর ৮১, ইফতিখার ১৭*, রিজওয়ান ২৬*; মিরাজ ৩/৬০)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball