আমি পেসারদের মানসিকতায় বদল এনেছি: ডোনাল্ড

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জাতীয় দলের ছায়া কোচিং প্যানেল চান সুজন
৪ ঘন্টা আগে
পেস বোলিং কোচ হয়ে বাংলাদেশে আসার পর সংস্কৃতি পরিবর্তন করাটা এতটা সহজ ছিল না অ্যালান ডোনাল্ডের জন্য। কিন্তু সেই অসাধ্যই যেন সাধন করেছেন সাউথ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি পেসার। এবার আইসিসির বার্তায় নিজেই জানিয়েছেন, বাংলাদশের পেসারদের মানদিকতায় বদল এনেছেন তিনি।
ডোনাল্ড যখন এই দেশে কোচ হয়ে আসেন তখন স্পিনবান্ধব উইকেটেই বেশি খেলত বাংলাদেশ। বিশেষ করে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্পিনবান্ধব উইকেট বানিয়ে একের পর এক ম্যাচ জিতে নিতো টাইগাররা।

বাংলাদেশ দলে সেসময় মানসম্পন্ন পেসার থাকলেও তাদের সেভাবে ব্যবহার করা হতো না। এমনকি পেসাররা সেভাবে ম্যাচ খেলার সুযোগই পেত না। সবমিলিয়ে এমন অবস্থা থেকে পেসারদের উপরে উঠিয়ে আনতে বেশ কষ্টই করতে হয় ডোনাল্ডকে।
আইসিসির ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের পেসারদের ভালো উন্নতি হয়েছে। এক এক জনের সঙ্গে আমার আলাদা আলোচনায় অথবা দলগত আলোচনায় যা বুঝেছি তাদের (পেসারদের) সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই আমাকেই মানসিকতায় বদল আনতে হয়েছে। আমি বলেছি, ফ্ল্যাট উইকেটেই সবসময় খেলতে হবে এবং সব জায়গায় খেলতে হবে। বিশ্বের সব দেশের বোলারদের মানসিকতাই একইরকম। আমাদের কোনো এক্সপ্রেস পেস বোলার নেই। তবে আমাদের অনেক দক্ষ বোলার আছে। আমি তাদের একইভাবে ভাবতে শিখিয়েছি এবং আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে বোলিং করতে বলেছি।'
'আমি যখন ঢাকার মিরপুরে প্রথমবার আসি, তখন সবাই বলেছে স্পিন বোলারের দেশে স্বাগতম। মাঝে মধ্যে আমরা চার স্পিনারও খেলিয়েছি। সঙ্গে দুই স্পিনার। সেখানে আমরা এভাবেই ম্যাচ জিততাম। কিন্তু আমি সবসময় বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ যদি দেশের বাইরে জিততে চায়; দেশের বাইরে সবসময়ই ভালো উইকেটে খেলা হয়। ওইসব উইকেট অনেক সময় স্পিন বান্ধব হয় না, যেখানে আমাদের খেলা হয়। এরপর সব পরিবর্তন হতে থাকে। পেসাররা ম্যাচ শুরু করে, পরে দুয়েকজন স্পিনার আসে।'
ডোনাল্ডের ছোঁয়া পেয়ে পুরোপুরি বদলে যায় বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট। যেকোনো ফরম্যাটে বাংলাদেশকে জেতাতে থাকেন মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদরা। নিজের বোলিং নিয়ে তাই বেশ গর্বিত ডোনাল্ড।
তিনি আরও বলেন, 'বিশ্বকে এখন আমরা জানিয়ে দিতে পারি, আমাদের পাঁচজন অসাধারণ পেসার আছে। এর বাইরে আমাদের ইবাদত হোসেনও আছে। খালেদ আহমেদের মতো পেসারও আছে।'