বাংলাদেশের ম্যাচের আগে ইনজামামের পদত্যাগ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দুঃসংবাদ শুনতে হল পাকিস্তানকে। বিশ্বকাপে দলটির বাঁচা-মরার ম্যাচের আগে পদত্যাগ করেছেন প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক। সোমবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমন খবরই পাওয়া গিয়েছে।
স্বার্থের সঙ্ঘাতের কারণেই ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন ইনজামাম। তিনি এমন একটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যেটির মালিক ক্রিকেটারদের এক এজেন্ট। ফলে ক্রিকেটারদের নির্বাচনে সেই ব্যক্তির হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবির) পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোন বিবৃতি দেয়া হয়নি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ‘ইয়াজ়ো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানির অংশীদার ইনজামাম। সেই কোম্পানির মালিক তালহা রেহমানি। এই রেহমানি বাবর আজম, মহম্মদ রিজ়ওয়ান, শাহিন আফ্রিদি-সহ পাকিস্তানের বেশ কিছু ক্রিকেটারের এজেন্ট।

সে সময় প্রশ্ন উঠে, ইনজামামের সূত্রে পাকিস্তানের দল নির্বাচনে হাত থাকতে পারে সেই কম্পানির মালিকের। এ ছাড়া গেল কয়েকদিন ধরেই পিসিবির সঙ্গেক্রিকেটারদের বার্ষিক চুক্তিকে ঘিরেও চলছিল বিতর্ক। এমন সময় এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়।
দেশটির এক টেলিভিশন চ্যানেলে বোর্ডের চেয়ারম্যান জ়াকা আশরফ জানান, কোম্পানিটির সঙ্গে ইনজামামের যোগ নিয়ে তদন্ত করা হবে। তিনি আশ্বাস দেন, ইনজামামকে ফোন করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর আরও বড় সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার পিসিবির অফিসে ডাকা হয় ইনজামামকে। সেখানেই জাকার সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়। তার পরেই মুখ্য নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ইনজামাম। তবে তার জায়গায় কে দায়িত্ব নিচ্ছেন এ নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
এদিকে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনে রেহমানির কোনও হাত আছে কি না, তা জানতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইনজামাম এই প্রসঙ্গে বলেন, 'বোর্ডের তরফে আমাকে ফোন করে এই কমিটির কথা জানানো হয়েছে। আমি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি। আমিই বোর্ডকে বলেছিলাম, পদত্যাগ করাই সবচেয়ে ভাল। সব ঠিক হলে তার পরে আবার বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব।'
তিনি আরও বলেন, 'বোর্ড আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চাইলে করতে পারে। লোকে কোনও প্রমাণ ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে। প্রমাণ থাকলে প্রকাশ্যে আনা হোক। বোর্ডকেও সেটাই বলেছি। আমার সঙ্গে খেলোয়াড়দের এজেন্টের কোম্পানির কোনও যোগাযোগ নেই। এই ধরনের অভিযোগে ব্যথা লাগে।'