যেকোনো মূল্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে চান সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন প্রায় শেষই বললে চলে। হাতে রয়েছে তিনটি ম্যাচ, মান বাঁচানোর সঙ্গে সাকিব আল হাসানের দলকে দিতে হবে আরও একটি পরীক্ষাও। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোয়ালিফাইয়ের পরীক্ষা। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে খেলতে বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে সেরা ৮ এ থাকতে হবে বাংলাদেশকে।
ছয় ম্যাচের টানা পাঁচটিতে হেরে ২ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে নয়ে আছে টাইগাররা। শেষ তিন ম্যাচে খেলতে হবে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিপক্ষের সঙ্গে। পাকিস্তান এবারের বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারলেও বাংলাদেশের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষই হবে।
তিনটিই কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলা থাকায় বাংলাদেশের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমীকরণ মেলানো কঠিন। শেষ তিন ম্যাচের একটিতেও জিততে না পারলে তখন ২০২৫ সালের সেই আইসিসির টুর্নামেন্টে খেলার স্বপ্ন শেষ একেবারে হয়ে যাবে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝে দুটি ম্যাচ জেতা যে সহজ নয় তা ভালো করে জানে বাংলাদেশও।

তারপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বড় কিছুই করতে চায় বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব জানিয়েছেন, যে কোনো ভাবে ২০২৫ সালে হতে যাওয়া আসরটিতে খেলতে চান তারা। সাকিব বলেন, 'আমার বলার কিছু নেই। গোটা দলই কথা বলছে আমাদের কী করা প্রয়োজন। আমাদের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোয়ালিফাই করা, এজন্য আমাদের কাছে জয়ের বিকল্প নেই। আমরা এদিকেই মনোযোগ রাখছি।'
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা যে এখন বিশ্বকাপে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধাণ লক্ষ্য তা জানিয়ে সাকিব আরও বলেন, 'হ্যাঁ অবশ্যই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি একটা লক্ষ্য। তবে কত উপরের দিকে শেষ করা যায় সেটাও তো একটা লক্ষ্য। আমরা যেভাবে প্রত্যাশা করেছিলাম সেভাবে করতে পারিনি। তবে এখান থেকেও যদি যে কয়টা ম্যাচ আছে ভালোভাবে খেলতে পারি, ভালো ফলাফল আসে, তাহলে হয়ত স্বস্তি নিয়ে ফিরতে পারব। তখন রিফ্লেক্ট করতে পারব কি কি করলে ব্যাটার হত।'
এবারের আসরে ব্যাট হাতে সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না সাকিবের। আগেরবার ৯ ম্যাচে ৬০৬ রান করা এই অলরাউন্ডার এবার ৫ ম্যাচ খেলে করেছেন স্রেফ ৬১ রান। দর্শকদের প্রত্যাশা ভালো করবেন সাকিব। এ নিয়ে প্রশ্ন যেতেই বাংলাদেশ অধিনায়ক উত্তরে বলেন, ‘আমিও পারফর্ম করতে চাই। ’ এরপর সাংবাদিকের পাল্টা প্রশ্ন ছিল কীভাবে? এবার উত্তরে সাকিব বলেন, ‘আমিও ওই পথটা খোঁজার চেষ্টাই করছি। ’
বিশ্বকাপে সাকিবের সঙ্গে দলের সময়ও ভালো কাটছে না। ছয় ম্যাচের কেবল একটিতে জয়। সবশেষ ম্যাচেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে হারতে হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কাছে। এখন বিশ্বকাপে ম্যাচ বাকি তিনটি। দলের লক্ষ্য্যটা কী? উত্তরে সাকিব বলেন, ‘লক্ষ্য হচ্ছে আগামীকালের ম্যাচ খেলা ও জেতার চেষ্টা করা। আমাদের সেরাটা করা। দুই পয়েন্টের দিকে তাকানো যেটা নেওয়া সম্ভব। আমরা চেষ্টা করবো নিজেদের সেরাটা করার। ’
‘আমরা আলোচনা করেছি এ নিয়ে, টিম মিটিং ছিল। আমরা বসেছি আর কথা বলেছি কীভাবে এখনকার পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া যায়। কিন্তু আমাদের এটা কাজে প্রমাণ করতে হবে। কথা বলে লাভ নেই যদি সেটা কাজে না আসে। এটা আমাদের মাঠে করতে হবে যেন সবাই দেখতে পারে।’