রাহীর ৩০০ উইকেট, সিলেটের জয় ইনিংস ব্যবধানে

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সিলেট বিভাগকে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে আরও অন্তত ৯০ রান করতে হতো রংপুর বিভাগকে। এদিকে জয় পেতে সিলেটের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩ উইকেট। ৬৪ রানের মাঝে শেষ তিন উইকেট তুলে নিয়ে ইনিংস ও ২৬ রানের জয় তুলে নিয়েছে সিলেট। তাদের এমন জয়ের দিনে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নেয়ার মাইফলক স্পর্শ করেছেন আবু জায়েদ রাহী।
আগের দিনের ৭ উইকেটে ১৬৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর। ২৮ রানে অপরাজিত থাকা তানবীর হায়দার শেষ দিনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আগের দিনের সঙ্গে মাত্র ৫ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরেছেন রংপুরের অধিনায়ক। ৩৩ রান করা তানবীরকে ফিরিয়েছেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা। এরপর নিহাদ উজ জামান ও আব্দুল গাফফার সাকলাইন মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন।

তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৩ রান। নিহাদ ও আব্দুল গাফফারের জুটি ভাঙেন নাবিল সামাদ। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে বোল্ড হয়েছেন ৩২ বলে ১৯ রান করা নিহাদ। টিকতে পারেননি শেষ ব্যাটার হিসেবে খেলতে নামা আসাদুল্লাহ হিল গালিব। রাহীর বলে ফিরে গেছেন তিনি। ২৩০ রানে অল আউট হওয়ার দিনে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন আব্দুল গাফফার।
সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন রাহী। এই উইকেট নিতে গিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ডানহাতি এই পেসার। রাহীর আগে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পেসার হিসেবে ৩০০ উইকেট আছে মোহাম্মদ শরীফ ও ফরহাদ রেজা। তৃতীয় পেসার হিসেবে এমন কীর্তি গড়লেন রাহী।
এর আগে শামসুর রহমান শুভর ১৬০ রানের ইনিংস ও তাওহীদুল ইসলামের হাফ সেঞ্চুরির উপর ভর করে সবকটি উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে ৪১৫ রানের বড় পুঁজি পায় সিলেট। জবাব দিতে নেমে রাহীর ৪ এবং সৈয়দ খালেদ আহমেদের ৫ উইকেটে মাত্র ১৫৯ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। দলের হয়ে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি ছিল অধিনায়ক তানবীরের।
ফলো অনে পড়ে ব্যাটিংয়ে নেমেও বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। রাহী, রাজা ও নাবিল সামাদদের দারুণ বোলিংয়ে২৩০ রানে গুটিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ফলে ইনিংস ও ২৬ রানে হারতে হয়েছে রংপুরকে। এমন জয়ের ম্যাচে রাহী ৭ উইকেট নিলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন সেঞ্চুরি করা শামসুর।