বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার স্বপ্ন এখন অনেক দূর

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না’
১৩ মার্চ ২৫
বিশ্বকাপের শেষ চারের খেলার স্বপ্ন না থাকলেও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের পর সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, তাদের এখনও সুযোগ আছে। বাংলাদেশের এমন কথায় খানিকটা অবাকই হয়েছিলেন সংবাদ সম্মেলনে থাকা গণমাধ্যমকর্মীরা। সাকিব আসলে কিসের সুযোগের কথা বললেন? বিষয়টি নিয়ে পরিস্কার ধারণা পেতে তাই আবারও প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয় অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের কাছে।
সাকিবও তাই পরবর্তীতে খোলাসা করে জানালেন, বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নয় বরং তাদের চোখ ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তানে হতে যাওয়া সেই টুর্নামেন্টে খেলতে চাইলে বিশ্বকাপে সেরা আটে থাকতে হবে (আয়োজক পাকিস্তানসহ সেরা আট দল)। সেটার কথা ভেবেই শেষ তিন ম্যাচে সুযোগ দেখছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ডাচদের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছিলেন, ‘সেমিফাইনালের সম্ভাবনা নয়, অন্তত আরেকটু ভালো করা। ধরুন, র্যাঙ্কিংয়ে আটের ভেতর থাকতে হবে যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে হয়। সেই জায়গা থেকেও এখনও তিনটি ম্যাচ আছে।’

বাংলাদেশের সুযোগের আড়ালে আছে শঙ্কাও। ছয় ম্যাচের টানা পাঁচটিতে হেরে ২ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে নয়ে আছে টাইগাররা। শেষ তিন ম্যাচে খেলতে হবে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিপক্ষের সঙ্গে। পাকিস্তান এবারের বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারলেও বাংলাদেশের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষই হবে। শ্রীলঙ্কা শুরুটা ভালো করতে না পারলেও নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ছন্দে ফিরেছে।
জাতীয় দলের ছায়া কোচিং প্যানেল চান সুজন
৪ ঘন্টা আগে
পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে থাকা লঙ্কানদের খেলতে হবে আফগানিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের। যেখানে আফগানদের সঙ্গে হট ফেভারিট হিসেবেই খেলবে তারা। তাদের বিপক্ষে জিততে পারলে সেরা আটে তাদের থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এদিকে ছয়ে থাকা আফগানিস্তানের জন্য সহজ প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। তাদের সঙ্গে জিতলে ছয় পয়েন্ট হবে তাদেরও।
২ পয়েন্ট নিয়ে নয়ে থাকা বাংলাদেশ যদি শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে টেক্কা দিতে চায় তাহলে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝে অন্তত দুটি ম্যাচে জিততে হবে। তখন বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৬ পয়েন্ট। এমনটা হলে সুযোগ থাকতে পারে বাংলাদেশের। শুধু তাই নয়, তাকিয়ে থাকতে হবে ডাচ ও আফগানদের ম্যাচের দিকেও। সেখানে আফগানরা জিতলে বাংলাদেশের জন্য সমীকরণ কঠিন হবে।
বাংলাদেশের নিচে থাকা ইংল্যান্ড নেদারল্যান্ডসকে হারালে অনায়াসে টাইগারদের উপরে উঠে যাবে। পাকিস্তান কিংবা অস্ট্রেলিয়ার যেকোন একটি দলকে হারাতে পারলে তারাও নিশ্চিতভাবে থাকবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ফলে নিজেদের ম্যাচ তো জিততেই হবে সঙ্গে অন্যদের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে।
তিনটিই কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলা থাকায় বাংলাদেশের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমীকরণ মেলানো কঠিন। শেষ তিন ম্যাচের একটিতেও জিততে না পারলে তখন ২০২৫ সালের সেই আইসিসির টুর্নামেন্টে খেলার স্বপ্ন শেষ একেবারে হয়ে যাবে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝে দুটি ম্যাচ জেতা যে সহজ নয় তা ভালো করে জানে বাংলাদেশও।
এদিকে বিশ্বকাপের সেরা ৮ দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার নিয়মে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে এবং আয়ারল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপে বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসতে পারেনি তারা। নিয়মের গ্যাঁড়াকলে তিন দলের কাউকে দেখা যাবে না ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও।