ডাচদের সঙ্গে হার হজম করা কঠিন: সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না’
১৩ মার্চ ২৫
সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে রীতিমতো চমকে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। অস্ট্রেলিয়ার কাছে উড়ে গেলেও কলকাতায় বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল তারা। শেষ পর্যন্ত ডাচদের সেই স্বপ্ন সত্যিই হয়েছে। বাংলাদেশকে তারা হারিয়ে দিয়েছে ৮৭ রানে। ডাচদের বিপক্ষে এমন হার হজম করা কঠিন বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলেও এখন পর্যন্ত বলার মতো কিছুই করতে পারেনি বাংলাদেশ। পরের প্রতিপক্ষগুলো বেশি শক্তিশালী হওয়ায় হারাটা অপ্রত্যাশিত ছিল না। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত, সাউথ আফ্রিকার মতো দলের নাম শোনার পর মনকে সাত্বনা দেয়া যেতেই পারে। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের পর বাংলাদেশের সমর্থকরা নিজেদের কিভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবেন?

কাগজে-কলমে ডাচদের চেয়ে ঢের এগিয়ে বাংলাদেশের। কলকাতায় তাদের বিপক্ষে জয় না পাওয়ার কোন কারণই ছিল। অথচ তাদের সামনেই মুখ থুবড়ে পড়ল সাকিবের দল। বাজে ফিল্ডিংয়ের পরও বোলারদের কল্যাণে নেদারল্যান্ডসকে ২২৯ রানে আটকে দেয়ার পর জয় পাওয়াটা অনুমেয়ই ছিল। কিন্তু টপ অর্ডার, মিডল অর্ডারের নিষ্প্রভ ব্যাটিংয়ে হারতে হলো বাংলাদেশকে।
জাতীয় দলের ছায়া কোচিং প্যানেল চান সুজন
৬ ঘন্টা আগে
২৩০ রান তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ থামল ১৪২ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে থেকে, সেটাও মাত্র ৩৫। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করে এসেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের ব্যাট থেকে। ম্যাচ শেষে সাকিব জানালেন, তারা ডাচদের রীতিমতো ২ পয়েন্ট বিলিয়ে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি আপনার সঙ্গে শতভাগ একমত পোষণ করছি। এটা আমি অস্বীকার করতে পারছি না। আমরা ফিল্ডিংয়ে ভালো করতে পারিনি তবে বোলিংয়ে বেশ ভালো করেছিলাম। আমরা আসলে যেভাবে ব্যাটিং করতে পারি কিংবা চাই সেভাবে পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাটিং করতে পারিনি।’
‘এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়। ডাচদের আমরা একেবারে দুই পয়েন্ট দিয়ে দিয়েছি। এটা হজম করা খুবই কঠিন। কিন্তু ক্রিকেটে এটা হতেই পারে। ডাচরা যেভাবে বোলিং করেছে তাতে তাদের কৃতিত্ব দেয়া উচিত। তারা বেশ গোছানো ছিল এবং আমরা বেশ কিছু বাজে শট খেলেছি।’
সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ ছিল না আগেও। তবুও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিততে পারলে খানিকটা ভালোভাবে বিশ্বকাপ শেষ করতে পারতো বাংলাদেশ। তবে সেটা করতে পারেনি সাকিবের দল। ৩১ অক্টোবর কলকাতাতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামবে টাইগাররা। সেই ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষকে নিয়ে না ভেবে কিভাবে বাজে অবস্থা থেকে নিজেরা বেরিয়ে আসতে পারে সেটাতে মনোযোগ দিতে চায় বাংলাদেশ।