সাকিব ভাই নিয়ম ভাঙেনি, তাকে বাহবা দেয়া উচিত: তাসকিন

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না’
১৩ মার্চ ২৫
ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকায় নিজের সমস্যা নিয়ে কাজ করতে বিশ্বকাপের মাঝ পথে দেশে ফিরেছিলেন সাকিব আল হাসান। দলের অনুশীলন না থাকায় কোচ ও বোর্ডের অনুমতি নিয়ে সাকিব ঢাকায় আসাতে কোনো সমস্যা দেখছেন না তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি এই পেসার মনে করেন, এমন কাজের জন্য সাকিবকে আরও বাহবা দেয়া উচিত।
বিশ্বকাপে সময়টা একেবারে ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হেরে রীতিমতো ধুঁকছে টাইগাররা। মুম্বাইয়ে সাউথ আফ্রিকার কাছে বড় পরাজয়ের পর কলকাতার বিমান ধরে বাংলাদেশ। যেখানে নেদারল্যান্ডস ও পা??িস্তানের বিপক্ষে খেলবেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। সব ক্রিকেটার ও স্টাফরা কলকাতার বিমানে উঠলেও সেখানে ছিলেন না সাকিব।
দুপুর নাগাদ জানা যায় ব্যক্তিগত কাজে ছুটি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। যদিও সাকিব দেশে ফিরেছিলেন নিজের ব্যাটিংয়ের সমস্যা সমাধানের জন্য। ২৫ অক্টোবর মিরপুরের ইনডোর স্টেডিয়ামে নাজমুল আবেদিন ফাহিমের সঙ্গে তিন ঘণ্টার ব্যাটিং সেশন করেছেন তিনি। এরপর ২৬ অক্টোবরও ছোটবেলার কোচ ও বিকেএসপির উপদেষ্টাকে নিয়ে নিজের ব্যাটিংয়ে শান দিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

দুদিনের ব্যাটিং সেশন শেষে আবারও ভারত গেছেন সাকিব। বিশ্বকাপের মাঝে হুট করে দেশে আসায় প্রশ্ন উঠছে নিয়ম নিয়ে। ঢাকায় ফেরা কতটা প্রয়োজন ছিল এবং অধিনায়ক সাকিব বলেই কি এমন সুবিধা দেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল তাসকিনকে। ডানহাতি এই ব্যাটার অবশ্য সাকিবের হয়েই ব্যাট ধরেছেন।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় মোহামেডানের কাছে হারল রূপগঞ্জ
১৫ মার্চ ২৫
সাকিব নিয়ম ভাঙেনি উল্লেখ করে তাসকিন বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে তাদের অনুমতি নিয়েই সাকিব ভাই ঢাকায় গিয়েছেন। তিনি টিম ম্যানেজমেন্টকে বলেছিলেন নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে চান। সেই দিন আমাদের বিশ্রামও ছিল। তাই ম্যানেজমেন্ট তাকে অনুমতি দিয়েছে। কলকাতা থেকে ঢাকাও কাছে। উনি ক্রিকেটীয় কারণেই গিয়েছিলেন।’
‘অন্য কিছু না। তিনি ঢাকায় চার ঘণ্টা ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। আমরা সতীর্থরা তার এই যাওয়ায় প্রশংসাই করেছি। তার ব্যাটিং আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব ভাইও এটা নিয়ে খুবই মরিয়া যে তিনি কীভাবে ভালো করবেন। তিনি কোনো নিয়ম ভেঙে ঢাকা যাননি।’
ধুঁকতে থাকা দলকে রেখে অধিনায়কের দেশে ফেরা অনেকেই ভালোভাবেই নেয়নি। যে কারণে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটা এলো অনুমেয়ভাবেই। তাসকিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এমন অবস্থায় অধিনায়ক দলের সঙ্গে না থেকে দেশে ফেরায় প্রভাব ফেলেছে কিনা। তাসকিন অবশ্য বলছেন তেমন কোন প্রভাব ফেলেনি। বরং সাকিবের ঢাকা যাওয়াকে বাহবা দিতে বলছেন তিনি।
তাসকিন বলেন, ‘এটা আসলে আমাদের খুব বেশি প্রভাবিত করেনি। আমার মনে হয় সে যখন ফিরে এসেছে তখন আমরা দারুণ একটা সময় কাটিয়েছি। সে আসলে কিছুটা উন্নতির জন্য দেশে গিয়েছিল। কারণ সে ভালো ব্যাটিং করছে না যতটা সে প্রত্যাশা করছে। দলের ভালোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু জিনিস নিয়ে অনুশীলন করতে গিয়েছিল। আমাদের এটাকে আরও বাহবা জানানো উচিত। আমাদের তখন বিশ্রামও ছিল। যখন আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু হয়েছে তখন সে এখানে। আমাদের কোন সমস্যা নেই।’
এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ১৪ গড়ে ৫৬ রান করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। যেখানে এক ম্যাচেই করেছেন ৪০ রান। এদিকে বল হাতে ৫.৫৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। দেশে ফিরে নেয়া টোটকা কাজে লাগিয়ে ছন্দে ফিরতে পারলে লাভ হবে সাকিবের, লাভটা বাংলাদেশেরও। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ২৮ অক্টোবর নেদারল্যান্ডস এবং ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ খেলবে পাকিস্তানের সঙ্গে।