ক্লাসেন-কুইনি ছন্দে থাকলে থামানো কঠিন: মাহমুদউল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট
৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
বাংলাদেশের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন দুই ব্যাটার কুইন্টন ডি কক ও হ্যানরিখ ক্লাসেন। ডি কক ১৪০ বলে ১৭৪ আর ক্লাসেন মাত্র ৪৯ বলে করেছেন ৯০। আর তাতে ভর করেই ৩৮২ রানের বিশাল পুঁজি নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা। জবাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস।
যদিও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১১১ রানের ইনিংসে হারের ব্যবধান কমিয়েছে টাইগাররা। অবশ্য ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ দুই প্রোটিয়া ব্যাটার ক্লাসেন ও ডি কককেই কৃতিত্ব দিয়েছেন। প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ মনে করেন ৩৪০-৩৩০ রানে সাউথ আফ্রিকাকে আটকাতে পারলে সেই রান তাড়া করা সম্ভব ছিল।

মাহমুদউল্লাহ বলেন, '৪০ ওভারে তারা ২৩০-২৪০ রান ছিল। স্কোর যদি ৩৪০-৩৩০ হতো তাহলে ভালো হতো। এ নিয়ে সাকিব-মুশির সঙ্গে কথা বলছিলাম, বোলারদের সঙ্গেও কথা হচ্ছিল। কারণ আমার কাছে মনে হচ্ছিল উইকেট খুব ভালো ছিল। ৩২০-৩২০ রান তাড়া করার মতো ছিল এই উইকেটে। ৩৮০ রান অনেক বেশি রান। বোলাররা যে গা ছেড়ে বোলিং করেছে তাও না। বোলাররা চেষ্টা করেছে। যখন ক্লাসেন এবং কুইনি ছন্দে থাকে তাদের থামানো কঠিন।'
জাতীয় দলের ছায়া কোচিং প্যানেল চান সুজন
৯ ঘন্টা আগে
এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখল বাংলাদেশ। যদিও আফগানিস্তানকে হারিয়ে দারুণভাবে শুরু করেছিল টাইগাররা। এরপর ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে হার। মাহমুদউল্লাহ মনে করেন তারা এখনও মোমেন্টামই খুঁজে পাননি।
পারফরম্যান্সে উন্নতির জন্য নিয়মিত আলোচনা করলেও মাঠে এর প্রয়োগ ঘটাতে পারছেন না ক্রিকেটাররা। সেই দায় মেনে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। পরবর্তী ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় আমরা মোমেন্টামটা পাচ্ছি না। আপনি আগে ব্যাটিং করেন বা বোলিং করেন আপনাকে সুযোগ তৈরি করতে হবে ম্যাচ জিততে হলে। আমার মনে হয় আমরা সেটাই করতে পাচ্ছি না। প্রথম ম্যাচটা যদি দেখি আফগানিস্তানের সাথে বোলাররা ভালো করেছে দেখেই কাজটা আমাদের জন্য সহজ হয়ে গিয়েছিল। পরের ম্যাচগুলোতে আমরা সেই সুযোগটা তৈরি করতে পারছি না। আমরা আলোচনা করছি, মিটিং করছি কিন্তু প্রয়োগ করতে পারছি না। চেষ্টা করব পরের ম্যাচে যেন করতে পারি।'