দল না জিতলে এমন ইনিংস মূল্যহীন: তানজিদ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট
৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
কাভার ড্রাইভ, স্ট্রেইট ড্রাইভ, ডাউন দ্য উইকেটে এসে বড় শট, এমন সব দৃষ্টিনন্দন শটে ভারতের বিপক্ষে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। বিশ্বকাপে আগের তিন ম্যাচে তানজিদের নামের পাশে ছিল মোটে ২২ রান। ভারতের বিপক্ষে হাই ভোল্টেজ ম্যাচে ৪১ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। কুলদীপ যাদবের বলে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। ফলে ৪৩ বলে ৫১ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। এমন ইনিংসের পর তানজিদকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ।

লিটনের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটিতে আসে ৯৩ রান। এমন জুটির পর বাংলাদেশ বড় রানের স্বপ্ন দেখছিল। তবে সেই আশা পূরণ হয়নি মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থ তায়। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তানজিদ জানিয়েছেন, ইনিংস বড় করতে না পারায় তার আক্ষেপ হচ্ছে। দল না জিতলে এমন ইনিংস মূল্যহীন।
নাহিদ রানার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট শান্ত
৯ ঘন্টা আগে
তানজিদের ভাষ্য, 'সবকিছু মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ… তবে যদি এই জায়গা থেকে বড় করতে পারতাম, তাহলে দলের জন্য ভালো হতো, আমার জন্যও ভালো হতো। দল না জিতলে ইনিংসটি মূল্যহীন হয়ে যায়। দল জিতলে অবশ্যই ভালো লাগে। দলের জন্য অবদান রাখতে পারলে নিজের কাছে ভালো লাগে। যেটা হয়নি, এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমরা সামনেরটা চিন্তা করছি।'
বিশ্বকাপে আগের ৩ ইনিংসে ৫, ১ ও ১৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তানজিদ। এমন পারফরম্যান্সের পর তাকে ভারতের বিপক্ষে খেলানো হবে কিনা তা নিয়েও ধোঁয়াশা ছিল। অবশ্য শেষ পর্যন্ত টিম ম্যানেজমেন্ট তার ওপরই আস্থা রেখেছেন। সেই আস্থারই প্রতিদান দিতে চেয়েছিলেন তানজিদ।
তিনি বলেন, 'টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ, তাদের বিশ্বাস ছিল যে আমি ভালো কিছু করব। আমি সেভাবেই করার চেষ্টা করছি। গত তিন ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছি। আজকে কিছুটা করতে পেরেছি। চেষ্টা করব এখানে যে ঘাটতিগুলি আছে, তা পরের ইনিংসে পুষিয়ে দেওয়ার।'