সিনিয়রদের সম্মান করা আমাদের সংস্কৃতিতে নেই: ইমরুল

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সাদমানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর হ্যাটট্রিক, হেরেই চলেছে রূপগঞ্জ টাইগার্স
১৬ মার্চ ২৫
সাকিব আল হাসান ইনজুরিতে পড়ায় ভারতের বিপক্ষে নেতৃত্ব দিতে হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তকে। নেতৃত্বভার পেয়ে ব্যাট হাতে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছেন না শান্ত। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলও হেরে গেছে। অথচ সাকিবের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিতে পারতেন মুশফিকুর রহিম বা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো ক্রিকেটাররাও। সিনিয়র ক্রিকেটাররা যথার্থ সম্মান না পাওয়ায় চটেছেন ইমরুল কায়েস।
বিশ্বকাপে ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে হারিয়ে জয় দিয়ে মিশন শুরু করলেও ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ থেকে রীতিমতো বাদ পড়ার প্রহর গুনছে লাল-সবুজের দল।
দলের এমন পারফরম্যান্সে প্রশ্ন উঠেছে শান্তর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কত্ব নিয়েও। কেননা নেতৃত্ব পাওয়ার পর নুইয়ে পড়েছে শান্তর ব্যাট। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত জুতসই কোনো ইনিংসও খেলতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটার।

অথচ ছয়ে-সাতে নেমেও দারুণ কয়েকটি ইনিংস খেলেছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। আর তাই তাদের অধিনায়কত্ব দেয়ার পক্ষে ইমরুল। জাতীয় দল থেকে হারিয়ে যাওয়া এই ক্রিকেটার মনে করেন, সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে শান্তর আগে নেতৃত্ব পেতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজও।
নাহিদ রানার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট শান্ত
৯ ঘন্টা আগে
ক্রিকফ্রেঞ্জির লাইভে ইমরুল বলেন, 'আমরা আসলে কী চাচ্ছি? আমরা কি আমাদের সিনিয়রদের যথাযথ সম্মান দিতে চাচ্ছি নাকি দেশের পারফরম্যান্সটা চাচ্ছি। সব থেকে বড় বিষয় এখানে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, শান্ত যেভাবে খেলছিল, যেভাবে ব্যাটিং করছিল, তাকে সেভাবেই করতে দেয়া উচিত ছিল। যেহেতু সাকিব, মুশফিক বা রিয়াদের জন্য শেষ বিশ্বকাপ, এই ধরনের অবস্থায় আমার আগে দলের কথা চিন্তা করা লাগবে।'
'শান্তর ওপর যদি বারডেন (চাপ) দেই, ও কিন্তু ওভাবে খেলতে পারবে না। রিয়াদ ছিল ওখানে, মুশফিক ছিল, মিরাজ ছিল ওখানে। সে কিন্তু শান্তর থেকে সিনিয়র জাতীয় দলে। এগুলো নিয়ে সূক্ষ্মভাবে ভাবা উচিত। যেহেতু ওখানে সিনিয়র ক্রিকেটার আছে, কাউকে দায়িত্ব দেয়ার আগে ভালো ছিল। সিনিয়ররা অনেক অভিজ্ঞ, ওরা ১৭-১৮ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। এখন তাদেরই সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটকে দেয়ার।'
ইমরুল আরও মনে করেন সিনিয়রদের যথার্থ সম্মান দেয়ার প্রচলন এ দেশের ক্রিকেটে একেবারেই নেই। যার কারণে পরবর্তী দিনের ক্রিকেটাররাও সম্মান দেয়ার বিষয়ে কিছুই শিখছে না। পুরো ব্যাপারটি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন ইমরুল।
তিনি আরও বলেন, 'সিনিয়রদের সম্মান করা, বহু আগে থেকেই আমাদের সংস্কৃতিতে জিনিসটি নেই। বলা যায়, মাশরাফি ভাই, রাজ্জাক ভাই থেকে শুরু করে হাবিবুল বাশার সুমন ভাই, এই সংস্কৃতি অনেক পুরানো। আমরা কীভাবে প্লেয়ারকে বিদায় দিতে চাচ্ছি বা সম্মানটা দিচ্ছি, আমাদের নাই আসলে। সত্যি কথা।'
'এটা আমাদের হওয়া উচিত, আমি মনে করি একটা প্রজন্ম আপ??ার কাছ থেকে শিখবে কীভাবে সম্মান দিতে হয়। তার বিদায় কীভাবে মাঠ থেকে হচ্ছে। আমি মনে করি, আমাদের একটা ট্রেন্ড চালু হওয়া উচিত। এভাবে না হলে একটা প্লেয়ার তৈরি হবে, আবার হারায় যাবে। এটা কখনোই ভালো ট্রেন্ড না।'