আমাদের ভালো উইকেটে খেলা উচিত: শান্ত

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নাহিদ–রিশাদরা পিএসএলে খেলুক, চাওয়া শান্তর
৯ ঘন্টা আগে
বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে গেলেও ব্যাটিং দুর্দশায় সেটা ক্রমশই ফিকে হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যাটিং দুর্দশার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কদিন আগে মিরপুরের লো স্কোরিং উইকেটকে দায় দিয়েছিলেন শোয়েব মালিক। এবার যেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের সঙ্গে সুর মেলালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও সুবিধা করতে না পারায় পর শান্ত জানালেন, তাদের ভালো উইকেটে খেলা উচিত।
আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগে তিনে থেকে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। অথচ তারাই কিনা বিশ্বকাপে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন। যার পেছনে অনেকেই মিরপুরের উইকেটের দায় দেখছেন। মিরপুরের উইকেট প্রথাগতভাবেই খানিকটা মন্থর এবং স্পিন নির্ভর। গত এক দশকে নিজেদের বেশিরভাগ সিরিজই জিতেছে হোম অব ক্রিকেটে।

যার ফলে ভালো ব্যাটিং উইকেটে খেলার সুযোগ কিংবা অভ্যস্ততা হয়নি বাংলাদেশের ব্যাটারদের। বিশ্বকাপের বেশিরভাগ উইকেটই ব্যাটিং বান্ধব হয়ে থাকে। ভারত বিশ্বকাপেও ভিন্ন কিছু চোখে পড়ছে। স্পোর্টিং উইকেটের কথা ভেবে বিশ্বকাপের আগে সিলেটে ভালো উইকেট বানিয়ে সিরিজও খেলেছে বাংলাদেশ। তবে কাজে আসেনি কিছুই।
নাহিদ রানার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট শান্ত
১০ ঘন্টা আগে
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের উইকেট বরাবরই ব্যাটারদের জন্য স্বর্গ। ম্যাচ শুরুর আগে উইকেট দেখে নাসের হুসেইন বলেছিলেন, এখানে অন্তত ৩০০ রান করতে হবে। এমনকি ৩৫০ রান করাও সম্ভব। নাসেরের এমন কথায় বুঝতে বাকি ছিল না পুনের উইকেটে ব্যাটারদের জন্য কতটা সুবিধা অপেক্ষা করছিল। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস।
তারা দুজনে হাফ সেঞ্চুরি পেলেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেমেছে ২৫৬ রানে। অথচ সেটা তাড়া করতে নেমে একেবারে অনায়াসে ব্যাটিং করেছেন রোহিত শর্মা, শুভমান গিল ও বিরাট কোহলিরা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ভালো উইকেটে খেলতে না পারা নিয়ে খানিকটা আক্ষেপই করেছেন শান্ত।
বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় আমাদের ভালো উইকেটে খেলা উচিত, ভালো উইকেটে অনুশীলন করা উচিত। স্পোর্টিং উইকেটে, যে ধরণের উইকেটে বিশ্বকাপে খেলা হয়।’
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের তিনটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে খেলা হওয়ায় আরও ৫ ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে বাংলাদেশ। শান্ত জানান, তারা প্রতি ম্যাচেই জয়ের জন্য নামবেন। তিনি বলেন, ‘পরের ম্যাচ যখন খেলতে নামব তখনও জেতার জন্য নামব, এখনও অনেক কিছু করার বাকি আছে আমার মনে হয়।’