লিটন-তানজিদদের ১২০ রানের ইনিংস খেলা উচিত ছিল: শান্ত

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ওপেনারদের থেকে দারুণ সূচনা পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। লিটন দাস ও তানজিদ তামিম হাফ সেঞ্চুরি পেলেও তা সেঞ্চুরিতে রুপান্তর করেননি, বাকি ব্যাটারদের থেকেও আশানুরূপ রান পায়নি দল। এমন অবস্থায় ভারতের বিপক্ষে স্কোরবোর্ডে ২৫৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
পুনের উইকেটে ২৫৭ রানের পুঁজি অবশ্যই জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। জয়ের লক্ষ্যে নামা ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাটিংই তার প্রমাণ। সঙ্গে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি তো বাংলাদেশকে আরও বড় বাস্তবতা দেখিয়েছে।

বিশ্বকাপে মাত্র এক ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ এতোদিন ধুকেছে টপ অর্ডার নিয়ে। এই ম্যাচে ওপেনাররা জ্বলে উঠলেও তাদের থেকে আরও বড় কিছু আশা করেছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। তানজিদ নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পেলেও আউট হয়েছেন ৫১ রানে।
আরেক ওপেনার লিটন সেঞ্চুরির আশায় খেলে গেলেও ৬৬ রানে রবিন্দ্র জাদেজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন। সেট হয়ে লিটনের এমন উইকেট ছুঁড়ে দেয়া এই আসরে এবারই প্রথম নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই ব্যাটার সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন।
এ ছাড়া মিডল অর্ডারে শান্ত, মিরাজ, তৌহিদ হৃদয় বা মুশফিকুর রহিমদের থেকে আশানুরূপ রান পায়নি বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় এই ম্যাচের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছনে, ওপেনারদের কারও ১২০ রানের ইনিংস খেলে আসা উচিত ছিল।
তাহলেই বাকিদের জন্য কাজটা সহজ হত। তারা সেট হয়ে উইকেট ছুঁড়ে দেয়ার বাকিদের ওপর চাপ পড়েছে বলে মনে করছেন তিনি। শান্ত বলেন,' আমি মনে করি যে দুইজন ব্যাটার সেট ছিল ওদের ইনিংস আরও লম্বা করা উচিত ছিল, একজন যদি ১২০ রানের ইনিংস খেলত তাহলে বাকিদের জন্য কাজটা সহজ হত।
এদিকে দলের কোন ক্রিকেটার ৫০, ৬০ বা ১০০ করে সন্তুষ্ট থাকে না বলে জানিয়েছেন শান্ত। তার ভাষ্যমতে, 'আমাদের দলে কেউই ৫০,৬০ বা ১০০তে খুশি হয় না, কোচরাও খুশি হয় না যদি না সেটা দলের উপকারে আসে।'