promotional_ad

কোহলির সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল বাংলাদেশ

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

নাহিদ রানার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট শান্ত

১০ ঘন্টা আগে
গণমাধ্যমে কথা বলছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, ক্রিকফ্রেঞ্জি

রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল উড়ন্ত শুরু এনে দেয়ার পর ভারতকে জেতাতে বাকি কাজটা সেরেছেন বিরাট কোহলি। ম্যাচ জিততে ভারতের যখন ১৯ রান প্রয়োজন তখন সেঞ্চুরি করতে কোহলিরও দরকার ছিল ১৯ রান। অপরপ্রান্তে থাকা লোকেশ রাহুল সেঞ্চুরির জন্য কোহলিকে একরকম স্টেজ ছেড়েই দিলেন। সুযোগটা বেশ ভালোভাবে লুফেও নিলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। দলের প্রয়োজন ছিল ১৯, কোহলি নিলেন ২৩ রান। এবারের বিশ্বকাপে কোহলি পেলেন প্রথম সেঞ্চুরি, ভারত জিতল ৭ উইকেটে। টানা চার জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই রইল ভারত।


উইকেটে তেমন কোন মুভমেন্ট না থাকায় রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের জন্য কাজটা খানিকটা সহজ। শরিফুল ইসলামের দুই ওভারে রোহিতের ব্যাটিং যেন সেটারই প্রমাণ। নিজের প্রথম ওভারে এসে মোটে ৬ রান দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবুও চতুর্থ ওভারে ফিজকে রেখে নাসুম আহমেদকে বোলিং আক্রমণে আনেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে বোলিংটা খারাপ করেননি নাসুম। প্রথম তিন ওভারে দেন ১১ রান। যদিও চতুর্থ ওভারে ১৩ রান দিতে হয়েছে তাকে।


এদিকে বাজে বলের ফায়দা নিতে ভুল করেননি রোহিত ও গিল। তাদের দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৩ রান তোলে ভারত। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেন গিল। মুস্তাফিজের ওভারে মেরেছেন তিন চার। পরের ওভারে খানিকটা পরিকল্পনা করেই রোহিতকে আউট করেছেন হাসান মাহমুদ। স্কয়ার লেগে তাওহীদ হৃদয়কে রেখে শর্ট লেংথ ডেলিভারি করছিলেন ডানহাতি এই পেসার। নিজের পছন্দের জায়গায় বল পেয়ে ছক্কা মারেন রোহিত। 


পরের বলেও ভারতের অধিনায়ককে একই লেংথে বল করেন হাসান। এবার খানিকটা নিচু করে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন ৪৮ রানের ইনিংস খেলা রোহিত। হাফ সেঞ্চুরির পর শুভমান গিলকে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই টাইগার স্পিনারের করা লেংথ ডেলিভারিতে মিড উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ক্যাচ দিয়েছেন ৫৩ করা গিল। ডানহাতি এই ওপেনার ফেরার পর ৪৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন কোহলি। ভালো শুরু পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি শ্রেয়াস আইয়ার।


মিরাজের বলে মিড উইকেটের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৯ রান করা এই ব্যাটার। আইয়ার ফেরার পর কোহলিকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন রাহুল। দ্রুতই ৩৪ রান তুলে নেন ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। এরপর ম্যাচের বাকি কাজটা সেরেছেন কোহলি। ভারতের যখ ২ রান প্রয়োজন তখন নাসুমের বলে ছক্কা মেরে ৯৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। অপরাজিত ছিলেন ৯৭ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলে। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ।



promotional_ad

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলেছেন লিটন ও তানজিদ। ভারতের দুই পেসার জসপ্রীত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ সিরাজের দারুণ সব বল লিভ করছিলেন দুজনই। তুলনামূলক ধীরগতিতে ছিলেন লিটন। ১৪তম বলে প্রথম রানের দেখা পান লিটন। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে বুমরাহর ইয়র্কার ফ্লিক করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে যান তানজিদ। যদিও বুমরাহর মনে হয়েছে বলটি তানজিদের প্যাডে লেগেছে, আর তাই আবেদনও করেননি তিনি।


আরো পড়ুন

কোনো ঘোষণা দিচ্ছি না, আমি খেলা চালিয়ে যাব: কোহলি

১৬ মার্চ ২৫
বিরাট কোহলি

একদম অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে 'জীবন' পেয়ে যান তরুণ ওপেনার তানজিদ। তবে ষষ্ঠ ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক রূপে দেখা যায় লিটনকে। সিরাজের এক ওভারেই দুটি বাউন্ডারি হাঁকান এই ওপেনার। প্রথম পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ করে মাত্র ১০ রান। পরের ওভারের শেষ বলে বুমরাহকে ছক্কা হাঁকান তানজিদ। অষ্টম ওভারে সিরাজের ওভারে দুটি চার হাঁকান সিরাজ। নবম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া বোলিং করতে আসলে তার ওভারে আবারও দুটি চার মারেন লিটন।


ইনিংসের দশম ওভারে ডাউন দ্যা উইকেটে ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশের রান পঞ্চাশ পার করেন তানজিদ। শার্দুল ঠাকুরের সেই ওভারে আরও এক্সট্রা কভার বাউন্ডারিতে একটি ছক্কা এবং মিড অনে একটি চার মারেন তামিম। ৪১ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তানজিদ। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ওপেনার। কুলদীপের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি। ৪৩ বলে ৫১ রান এসেছে তানজিদের ব্যাট থেকে।


তানজিদ ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটে লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধতে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তাকে থিতু হতে দেননি রবীন্দ্র জাদেজা। ভারতীয় এই স্পিনারের করা ব্যাক অব দ্য লেন্থ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে লিটনকে সঙ্গ দিতে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই ব্যাটারকে নিয়ে ৬২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন। 


মিরাজকে দ্রুত ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ। ১৩৯ কিলোমিটার বেগে করা সিরাজের ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন মিরাজ। তবে বল আজ হয়ে উইকেটের পেছনে চলে যায়। ভারতের উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল বামদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন। রবীন্দ্র জাদেজাকে লং অফ দিয়ে উড়িতে মারতে গিয়ে লং অফে শুভমান গিলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন লিটন। এর ফলে ব্যক্তিগত ৬৬ রানেই থামতে হয়েছে তাকে।


বাংলাদেশের ইনিংসের নবম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। প্রথম বলটি ডট করলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে চার মেরেছিলেন লিটন। তৃতীয় বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ করেছিলেন বাংলাদেশি এই ওপেনার। বলটি পা দিয়ে ফেরাতে গিয়ে অপ্রস্তুতভাবে পড়ে যান হার্দিক। পড়ে বাঁ পায়ে চোট পান এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এরপর মাঠেই সেবা নিতে দেখা যায় তাকে। পায়ে অস্বস্তি থাকায় এরপর মাঠ ছাড়েন তিনি। তার পরিবর্তে ওভার সম্পন্ন করেন বিরাট কোহলি। জানা গেছে ম্যাচ চলাকালীনই স্ক্যান করানোর জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে হার্দিককে।



১৪৯ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি বেধেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এই দুজনে ৩০ রান যোগ করেন। হৃদয় ৩৫ বলে ১৬ রান করে ধৈর্য্য হারিয়ে আউট হয়েছেন। শার্দুল ঠাকুরের করা শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে গিলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন হৃদয়। মুশফিকও এরপর ফিরে গেছেন দ্রুত। তাকে আউট করেছেন জসপ্রিত বুমরাহ।


ভারতীয় এই পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৪৬ বলে ৩৮ রান করা মুশফিক। এরপর মোহাম্মদ সিরাজের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন নাসুম আহমেদ। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ রান। শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩৬ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। তাকে দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করেছেন জসপ্রিত বুমরাহ। এরপর ইনিংসের শেষ বলে শরিফুলের ছক্কায় বাংলাদেশ লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করে।


সংক্ষিপ্ত স্কোর-


বাংলাদেশ- ২৫৬/৮ (৫০ ওভার) (তানজিদ ৫১, লিটন ৬৬, মুশফিক ৩৮, রিয়াদ ৪৬; বুমরাহ ২/৪১, সিরাজ ২/৬০, জাদেজা ২/৩৮)


ভারত-  ২৬১/৩ (৪১.৩ ওভার) (রোহিত ৪৮, গিল ৫৩, কোহলি ১০৩*, আইয়ার ১৯, রাহুল ৩৪*; মিরাজ ২/৪৭)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball