প্রতিটি ম্যাচই এখন ফাইনাল: কামিন্স

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এক ভেন্যুতে খেলে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে ভারত: কামিন্স
২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫
ফেভারিট হিসেবে বিশ্বকাপে আসলেও দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ পর্বে আরও সাত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন অজিরা। সেমিফাইনালের টিকিট কাটতে হলে ৫-৬ ম্যাচ জয়ের বিকল্প নেই তাদের। সমীকরণটা কঠিন হলেও সেটাকে মেলাতে চান প্যাট কামিন্স। প্রতিটি ম্যাচকেই ফাইনাল হিসেবে দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক।
বিশ্বকাপের আগে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখানে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হারলেও শেষ ম্যাচে বড় জয় পায় তারা। তবে বিশ্বকাপে এসে সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হারের পর সাউথ আফ্রিকার কাছে পরাজয় ১৩৪ রানে। টানা দুই ম্যাচে পরাজয় তো আছেই। দলটির সবথেকে বড় চিন্তার কারণ এখন ব্যাটারদের ব্যর্থতা।

শেষ দুই ম্যাচে দলটি দুইশ রানের ঘরই পেরোতে পারেনি। অবশ্য অজিদের ব্যর্থতার আরেকটি কারণ বাজে ফিল্ডিং। ভারতের বিপক্ষে ১৩ রান করা বিরাট কোহলির ক্যাচ হাতছাড়া করেন মিচেল মার্শ। জীবন পেয়ে ৮৫ রান করে দলকে জয়ের পথ দেখান কোহলি। দ্বিতীয় ম্যাচে সাউথ আফ্রিকান ব্যাটারদের জন্য উদার ছিলো অজিদের হাত। ম্যাচে প্রোটিয়া ব্যাটারদের ৬টি ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হয় অজিরা। তবে শুরুটা খারাপ হলেও সবকিছু পিছনে ফেলে ছন্দে ফিরতে মরিয়া অজি অধিনায়ক।
কোনো ঘোষণা দিচ্ছি না, আমি খেলা চালিয়ে যাব: কোহলি
১৬ মার্চ ২৫
শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে কামিন্স বলেন, ‘এটি মোটেও (বিশ্বকাপের) আদর্শ শুরু নয়। (আমরা) সবাই এটাকে (ম্যাচের ফলাফল) ঘুরিয়ে দিতে মরিয়া। আমরা পরিষ্কার ভাবেই ০-২ তে পিছিয়ে রয়েছি। তাই আমাদের জিততে হবে এবং দ্রুতই জয় পাওয়া শুরু করতে হবে। প্রতিটি খেলাই এখন প্রায় ফাইনালের মতো হয়ে গেছে। ফলে আপনাকে এখন জিততে হবে সবকিছুর জন্য।’
বিশ্বকাপের আগে দলটির ওপেনাররা বেশ আগ্রাসী ব্যাটিং করছিল। এমনকি বিশ্বকাপে আগ্রাসী সূচনার ইঙ্গিতও দিয়েছিল তারা। কিন্ত বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই করতে পারছে না দলটি। কামিন্সের কথায় অবশ্য সেটারই আভাস পাওয়া গেছে। অজি অধিনায়কের মতে, নিজেদের মান ধরে রাখতে না পারায় জয় পাচ্ছেন না তারা।
কামিন্স বলেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই যে আমরা যেমন মান ধরে রাখতে চাই সেটা করতে পারছি না। আমরা নিজেদের পরিকল্পনার বাইরে আছি তাই দুটো ম্যাচে হেরেছি। আমরা যখন নিজদের সেরা ছন্দে থাকতে পারি এবং বড় সংগ্রহ করতে পারি। তখন প্রতিপক্ষ ওপর চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়।’