আইসিসির নয়, মনে হচ্ছে বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট: আর্থার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট
৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
চলতি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিসা জটিলতা। এই সমস্যায় ভুগতে হয়েছে স্বয়ং পাকিস্তান দলের ক্রিকেটার ও সংবাদ কর্মীদের। সেখানে পাকিস্তান গ্যালারিতে সমর্থক পাবে না এটাই স্বাভাবিক। ফলে আহমেদাবাদে ভারতের নীল সমুদ্রের মাঝে প্রায় সমর্থক ছাড়াই খেলতে হয়েছে বাবর আজমদের। এক তরফা এমন সমর্থনে পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থারের মনেই হয়নি এটা বিশ্বকাপের ম্যাচ।
সাধারণভাবেই যে কোনও ম্যাচে স্বাগতিক দেশগুলো অতিরিক্ত সমর্থকের সুবিধা পেয়ে থাকে। যার কারণে বিশ্বকাপের মত বড় আসরে সফরকারী দেশের সমর্থকদের জন্য আলাদা ভাবেই কিছু আসন বরাদ্দ রাখা হয়। শেষ ২০১১ সালেও ভারতের মোহালিতে সেমিফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানের সমর্থকদের জন্য ৬ হাজার ৫০০ আসন বরাদ্দ রাখে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড। তবে এবার চিত্রটা ছিল একদম ভিন্ন।

বিশ্বকাপে এবার পাকিস্তানের মিডিয়া কর্মীরাই এখনও ভারতে আসতে পারেনি। পাকিস্তানের ৩৫৫ জন সাংবাদিকের মধ্যে মাত্র ৬০ জন সুযোগ পেয়েছেন আইসিসি থেকে। কিন্ত ভিসা জটিলতায় শুক্রবারের আগে মাত্র তিনজন সাংবাদিক ভারতে পৌঁছান। এদিকে গতকাল ম্যাচে প্রায় ১ লক্ষ্য ৩০ হাজার দর্শক গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলো। যা স্টেডিয়ামকে নীল সমুদ্রে পরিণত করেছিল। সেখানে পাকিস্তান সমর্থক পাওয়াই ছিল দুষ্কর। ফলে আর্থারের মনে হয়েছে এটা কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ।
ভারতের ৪ নম্বরের জায়গাটা নিজের করে নিতে চান আইয়ার
২ ঘন্টা আগে
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আর্থার বলেন, 'দেখুন, আমি যদি বলি এটা (দর্শক শুন্যতা) আমাদের প্রভাবিত করেনি তাহলে এটা মিথ্যা হবে। একদম সত্য করে বলি আমার কাছে এটা আইসিসির কোনও টুর্নামেন্ট মনে হয়নি। বরং একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মতো মনে হয়েছিল। মনে হয়েছিল এটি বিসিসিআই (ভারতের ক্রিকেট বোর্ড) টুর্নামেন্ট। আজ (গতকাল) রাতে আমি মাইক্রোফোনে দিল দিল পাকিস্তান (স্লোগান) কথাটি প্রায় শুনিই নি।'
যদিও ম্যাচের শুরুতে এসকল চাপ বেশ ভালো ভাবেই সামলে নিয়েছিল পাকিস্তানি ব্যাটাররা। তবে ম্যাচের চিত্র পাল্টে যায় ১৫৫ রানে বাবর আজম ফিরলে। মাত্র ৩৬ রানেই শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। জবাবে ১৯২ রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। যদিও এমন হারের জন্য দর্শক শুন্যতাকে অজুহাত দিচ্ছেন না আর্থার। তবে তার মতে দর্শক শূন্যতা একটা বড় ভূমিকা রেখেছে।
আর্থার আরও বলেন, 'হ্যাঁ, এটি (দর্শক শুন্যতা) একটি ভূমিকা পালন করেছে। তবে আমি এটাকে কোনও অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে যাচ্ছি না। কারণ এটা আমাদের জন্য জীবনের একটি মুহূর্ত ছিলো। এটি (হারের কারণ) ছিল আমাদের পরবর্তী বল, এটা ছিলো আমরা আজ (গতকাল) ভারতের বিপক্ষে কিভাবে লড়াই করেছি।'
সবশেষ তিনি বলেন, 'স্বাভাবিকভাবেই এমন (নীল সমুদ্রের মত) কিছু ঘটত। তবে আমরা সত্যিই কষ্ট পেয়েছি যে আমাদের সমর্থকরা এখানে নেই। তারা (সমর্থকরা) এখানে থাকতে পছন্দ করতো এবং আমি নিশ্চিত যে ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরাও এখানে আমাদের সমর্থকদের পছন্দ করতো।'