‘সাকিব তিন, মুশফিক চারে থাকলে দলের লাভ হতো’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল, মানছেন সালাহউদ্দিনও
২৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
তিনে নম্বরে ব্যাটিং করে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটালেও সাকিব আল হাসান এখন ব্যাটিং করছেন নিচের দিকে। মুশফিকুর রহিম চার কিংবা পাঁচ থেকে নেমে গেছেন ছয় নম্বরে। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জায়গা হয়েছে আট নম্বরে। তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এমন ব্যাটিং অর্ডার পছন্দ হয়নি মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের। দেশসেরা এই কোচ মনে করেন, সাকিব তিনে, মুশফিক চারে এবং রিয়াদ পাঁচ কিংবা ছয়ে ব্যাটিং করলে দলের লাভ হতো।
২০১৯ বিশ্বকাপে তিন নম্বরে ব্যাটিং করে ৬০৬ রান করেছিলেন সাকিব। নাজমুল হোসেন শান্তকে ভব্যিষতের জন্য তৈরি করার কথা ভেবে নিজের পছন্দের জায়গা ছেড়ে দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। যার ফলে কখনও চারে আবার কখনও তিনে ব্যাটিং করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। এদিকে মিডল অর্ডারে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার মুশফিক।
ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় চার কিংবা পাঁচে ব্যাটিং করলেও এবছর তিনে খেলছেন ছয় নম্বরে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে যেখানে সাফল্য পেয়েছেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ ফিনিশিংয়ের দায়িত্ব সামলাতেন ছয় কিংবা সাত নম্বরে। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ আট থেকে উপরে উঠে যাওয়ায় নিজের জায়গা হারাতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। অভিজ্ঞ তিন ক্রিকেটার এত নিচে ব্যাটিং করার প্রতিদিনই ধস নামছে টপ অর্ডারে।

রিস টপলির আগুনে বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ৪ উইকেট হারাতে হয়েছে ৫৬ রানে। সালাহউদ্দিন মনে করেন, অভিজ্ঞদের নিচে ব্যাটিং করানোর কারণে এমন দশায় পড়তে হচ্ছে। তার চাওয়া সাকিব তিনে, মুশফিক চারে, রিয়াদ পাঁচ কিংবা ছয়ে ব্যাটিং করুক। তাতে করে দল লাভবান হবে বলে মনে করেন তিনি।
নাহিদ রানার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট শান্ত
১৭ মার্চ ২৫
ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে লাইভ আড্ডায় সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি হলে সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ তিনজনকে এভাবে খেলাতাম। এটা হলে আরও ভালো হতো। কারণ তারা তিনজন একসঙ্গে ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে, তাদের মাঝে বোঝাপড়াটা ভালো, তারা অনেক কঠিন সময় মোকাবেলা করেছে। এমন পরিস্থিতি থেকে দলকে তারা বের করে আনতে পারত। আপনি যখন মিডল ওভারে উইকেট হারাতে থাকবেন তখন আপনি ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। উইকেট অনেক পড়ে গেছে, সেখান থেকে আপনি শেষে ফিনিশিংও করতে পারবেন না।’
‘মুশফিকেও এত পেছনে ব্যাটিং করানোর কোন যুক্তি দেখি না। আমার কাছে মনে হয় সাকিব তিনে, মুশফিক চারে এবং রিয়াদ পাঁচ কিংবা ছয়ে থাকত তাহলে তারা ভালো খেলতে পারত। এটা দলের জন্য লাভ হতো। ৪০ হাজার রান করা তিনজন ব্যাটার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করবে সেটা বেশি যুক্তিযুক্ত হবে নাকি সবাই মিলে ১০ হাজার করা ব্যাটার ব্যাটিং করলে ভালো হবে।’
টপ অর্ডার থেকে ধারাবাহিকভাবে রান করতে না পারায় বাড়তি ব্যাটার নিয়ে খানিকটা রক্ষণাত্বক অ্যাপ্রোচে খেলছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও আট ব্যাটার নিয়ে নেমেছিল সাকিবের দল। সালাহউদ্দিন মনে করেন, লিটন দাস-তানজিদ হাসান তামিমদের ব্যর্থতার কারণে এই পথে হেঁটেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আসলে সবকিছু নির্ভর করে ধারাবাহিকতার উপর। সেটা দেখেই আপনি সিদ্ধান্ত দেবেন কিভাবে দল সাজাবেন। যেহেতু আগের কয়েকটা ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে রান করতে পারেনি স্বাভাবিক একজন বেশি ব্যাটার ভাবনা এসেছে। যেহেতু কেউ বড় রান করছে তাই হয় তারা একজন ব্যাটার বেশি খেলিয়েছে।’