মাহমুদউল্লাহ ৮ নম্বরে এসে কি করবে? প্রশ্ন কুম্বলের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পরের প্রজন্মের জন্য ট্রফি জিততে চান মিরাজ
১৫ মার্চ ২৫
বাংলাদেশের ইনিংসের ফিনিশিংয়ের কাজটা লম্বা সময় সামলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্বকাপ দলে থাকায় এবারও তার কাঁধেই পড়ার কথা দায়িত্বটি। অথচ মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিং করছেন আট নম্বরে। অভিজ্ঞ রিয়াদকে এত নিচে ব্যাটিং করতে নামানোয় চটেছেন অনিল কুম্বলে। ভারতের সাবেক স্পিনার মনে করেন, তাকে আরও উপরে ব্যাটিং করানো উচিত।
বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহ থাকবেন কিনা সেটা সংশয় ছিল দল ঘোষণার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। পারফরম্যান্সে বয়সের ছাপ পড়ায় তরুণ বেশ কয়েকজনকে দিয়ে তার জায়গা পূরণে চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। তবে সেটাতে একেবারে সফল হতে পারেননি চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। যে কারণে মাহমুদউল্লাহকে নিয়েই বিশ্বকাপে যেতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

এদিকে মাহমুদউল্লাহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছয় কিংবা সাত নম্বরে ব্যাটিং করে থাকেন। এবার সাত নম্বরে ব্যাটিং করছেন তাওহীদ হৃদয়। আট থেকে উপরের দিকে মিরাজ উঠে যাওয়ায় মাহমুদউল্লাহ নেমে গেছেন আরও নিচে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর সাকিব আল হাসান ও মুশফিক মিলে বাংলাদেশের স্কোর দুইশর কাছে নিয়ে গেছেন।
সেখান থেকে ২৪৫ রান করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ। ২০১০ সালের পর ৮ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪১ রানের ইনিংস খেলেছেন। যার ফলে সম্মান বাঁচানো পুঁজি পায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহকে এত নিচে নামানোর বিরোধীতা করেছেন কুম্বলে।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সাথে আলাপকালে কুম্বলে বলেন, ‘আপনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে ৮ নম্বরে খেলাচ্ছেন? ৮ নম্বরে এসে সে কি করবে? সেখানে সে কিছুই করতে পারবে না। আপনা উচিত তাকে আরও উপরে খেলানো।’
২০১৯ বিশ্বকাপে তিন নম্বরে ব্যাটিং করে ৬০৬ রান করেছিলেন। অথচ এই বিশ্বকাপে সাকিব খেলছেন একেবারে মিডল অর্ডারে। দলের আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকের জায়গা হয়েছে ছয় নম্বরে। একেক দিন একেক পজিশনে ব্যাটিং করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে ব্যাটাররা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাচ্ছেন বলে মনে করেন কুম্বলে।
ভারতের সাবেক এই স্পিনার বলেন, ‘২০১৯ সালে তিন নম্বরে সাকিব সেরা পারফর্মার ছিল। সেখানে সে অনেক রান করেছে। অথচ এখন সে নিচের দিকে খেলছে। এমনকি মুশফিকুর রহিমও একই কাজ করছে। মেহেদী তো তার নিজের পজিশনই জানে না। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে ব্যাটাররা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেছে।’