‘আমরা এতটা বাজে দল হইনি আফগানদের সঙ্গে চিন্তা করতে হবে’

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সাদমানের সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর হ্যাটট্রিক, হেরেই চলেছে রূপগঞ্জ টাইগার্স
১৬ মার্চ ২৫
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের পরিসংখ্যানটা একেবারেই সুখকর নয়। তবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রায়শই টাইগারদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। যে কারণে প্রথম ম্যাচ আফগানিস্তানের সঙ্গে হওয়ায় স্বস্তির সঙ্গে খানিকটা দুশ্চিন্তাও ছিল বাংলাদেশের সমর্থকদের মাঝে। তবে ইমরুল কায়েস মনে করেন, বাংলাদেশ এতটা ভালো দল হয়ে যায়নি যে আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলতে চিন্তা করতে হবে।
বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ সবশেষ ম্যাচ খেলেছিল এশিয়া কাপে। যেখানে দাপুটে পারফরম্যান্সে আফগানদের হারিয়েছিল সাকিব আল হাসানের দল। তবে কয়েকদিন পিছনে ফিরে গেলে ভিন্নতা ছিল দৃশ্যপটে। ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেও আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজ হারতে হয়েছিল টাইগারদের।

যদিও বিশ্ব মঞ্চে বরাবরই বাংলাদেশের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে আফগানিস্তান। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ২০১৯ সালেও পাত্তা পায়নি তারা। এবারও সমর্থকদের আশা ছিল তেমনই। যদিও কয়েকদিন আগে সিরিজ হারায় খানিকটা দুশ্চিন্তাও ছিল। তবে মাঠের ক্রিকেটে তেমন কিছুর ছাপ মেলেনি। আফগানরা ভালো শুরু করলেও শেষ অবদি দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
নাহিদ রানার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট শান্ত
১৭ মার্চ ২৫
ব্যাটে-বলে দাপুটে পারফরম্যান্সে আফগানদের গুঁড়িয়ে দিয়েছেন সাকিবরা। গেল কয়েক বছরে উন্নতি হওয়ায় আফগানদের বিপক্ষে খেলতে খুব বেশি চিন্তার কিছু দেখেন না ইমরুল। বাঁহাতি এই ওপেনার মনে করেন, বাংলাদেশ এতটা বাজে দল হয়ে যায়নি যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এত বেশি চিন্তা করতে হবে। তার ধারণা, আফগানদের যেকোন সময় হারাতে পারে বাংলাদেশ।
ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে ইমরুল বলেন, ‘আমি সবসময় একটা কথা বলি আমরা এত বাজে দল হইনি যে আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলার আগে এত চিন্তা করতে হবে। আফগানিস্তানের সঙ্গে আমরা যেকোন সময় ম্যাচ জিততে পারি। আমাদের দলের সেই সামর্থ্য আছে এবং আমরা ওই স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে আমরা ক্রিকেট খেলি। সুতরাং আমাদের স্ট্যান্ডার্ডটা ওইখানে রাখা উচিত।’
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৫ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা। এবার অবশ্য সেটিকে ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করেন সমর্থকরা। ইমরুলের চাওয়া অবশ্য বাংলাদেশ ফাইনাল খেলুক। তবে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, তার চাওয়ার থেকে দলে যারা খেলছেন তারা কি যাচ্ছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ।
ইমরুল বলেন, ‘আমি তো অবশ্যই চাইবো বাংলাদেশ ফাইনাল খেলুক কিন্তু আমার চাওয়ার সাথে তো হবে না। যারা খেলতেছে তাদের চাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ, আমি, সবাই আমরা প্রত্যাশা করছি বাংলাদেশ অনেক দূরে যাবে এবং ভালো ক্রিকেট খেলবে। অন্তত পক্ষে আজকে যেভাবে ক্রিকেট খেলেছে ডমিনিটিং ক্রিকেট, আমাদের নিজেদের কাছে গর্বের বিষয় মনে হয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের এ ধরনের ক্রিকেট খেলা উচিত।’