পেসাররাও অবদান রাখবেন বিশ্বাস আছে সাকিবের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট
৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। যদিও পাওয়ার প্লেতে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরানের ব্যাটিং দেখে অনেকেই হয়তো দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গিয়েছিলেন আগে বোলিং নেয়ার সিদ্ধান্ত কতটা উপযুক্ত ছিল।
যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ম্যাচের লাগাম টেনে নেয়। সাকিব ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে ৬ উইকেট ভাগাভাগি করেছেন। আর তাতেই ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান ১৫৬ রানে অল আউট হয়েছে। ম্যাচ শেষে সাকিব জানিয়েছেন তারা এই ম্যাচে প্রত্যাশিত শুরু পাননি।

ধর্মশালার উইকেট জুড়েই ছিল বালিকণা। ফলে ফিল্ডিংয়ের সময় বেশ বেগ পেতে হয়েছে ফিল্ডারদের। বোলাররাও নিজেদের রানিং নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন। সাকিব অবশ্য এগুলোকে অজুহাত বানাতে নারাজ। দলের প্রতি তার বার্তা ছিল যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গেই মানিয়ে নেয়া। মাঠে সেই পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
‘আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না’
১৩ মার্চ ২৫
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, 'আমরা যেমন শুরু চেয়েছিলাম তেমনটা পাইনি। সবার বিশ্বাস ছিল আমরা যখন উইকেটের দেখা পাবো আমরা দ্রুত আরও কিছু উইকেট তুলে নিতে পারব। এটা সহজ নয় কিন্তু আমরা যেভাবে বোলিং করেছি তাতে আমি সন্তুষ্ট। আমরা শেষ কয়েকদিন কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং আমরা কোনো অজুহাত দিতে চাই না যে মাঠ খেলার জন্য উপযুক্ত নয়। আমরা ড্রেসিং রুমে কথা বলেছি পরিস্থিতি যেমনই হোক আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।'
সাকিব এই ম্যাচে ৩০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পর সাকিব জানিয়েছেন তিনি বেশ খুশি। বিশেষ করে দলের বোলাররা যেভাবে মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন এটা পছন্দ হয়েছে তার। বিশ্বকাপ মাত্র শুরু হয়েছে। পেসারাও পরবর্তীতে আরও অবদান রাখবেন বলে বিশ্বাস টাইগার অধিনায়কের।
তিনি বলেন, 'আমি বল হাতে অবদান রাখতে পেরে সন্তুষ্ট। আমাকে বলতেই হবে আমাদের বোলারা খুবই মিতব্যয়ী ছিল। তারা অবদান রেখেছে। স্পিনাররা বড় ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে এটা অনেক বড় টুর্নামেন্ট। আমি নিশ্চিত পেস বোলাররা আরও অবদান রাখবে। মেহেদী এবং শান্ত ফর্মে আছে। তারা সবসময়ই আত্মবিশ্বাসী এবং দলের হয়ে ভালো খেলতে চায়।'