পরিশ্রমের ফল পেতে শুরু করেছেন মিরাজ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শুরুর দিকে উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পাননি পেসাররা। বল ভালোভাবে ব্যাটে আসায় তা কাজে লাগিয়ে ইব্রাহীম জাদরান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ আফগানিস্তানকে ভালো সূচনা এনে দেন। কিন্তু বল পুরনো হওয়ার সঙ্গে মেহেদি হাসান মিরাজকে কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে চাপ সৃষ্টি করেন সাকিব আল হাসান।
২ উইকেট হারানো আফগানিস্তান তখনও স্বপ্ন দেখছিল বড় স্কোরের। কিন্তু দুই প্রান্তে মিরাজ-সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপ সামলাতে না পেরে উইকেট ছুঁড়ে দেন হাশমতউল্লাহ শাহিদী ওঁ গুরবাজ। সে সময় থেকেই আফগানদের চেপে ধরার কাজটা ভালোভাবেই করেন বাংলাদেশের বাকি বোলাররা।
২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান পার করা আফগানিস্তান অল আউট হয় ১৫৬ রানে। যেখানে বড় কৃতিত্ব সাকিব ও মিরাজের। দুজনই নেন ৩টি করে উইকেট। যদিও শুরুতে বোলিংয়ে এসে গুরবাজকে চেপে ধরতে চার ফিল্ডার লেগ সাইডে রেখে পায়ের কাছে বোলিং শুরু করেন মিরাজ।

তাতে সফলতা না এলেও শাহিদীকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেটের উল্লাসে মাতেন মিরাজ। ১১২ রানে ৩ উইকেট হারানো আফগানরা বাকি ৭ উইকেট হারায় মাত্র ৪৪ রানে। নিচের দিকের দুই ব্যাটার রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানকেও আউট করেন মিরাজ।
শুরুর দিকে রাউন্ড দ্যা উইকেট বোলিং করে গুরবাজের বিপক্ষে সফল না হওয়ার পরের ওভারেই ওভার দ্যা উইকেটে চলে আসেন মিরাজ। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, অধিনায়ক সাকিবের কথাতেই বল হাতে সফল হয়েছেন তিনি। সাকিব থেকে আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন বলেই ৩ উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছেন।
এ ছাড়া বিগত কয়েক বছরের পরিশ্রমের ফল পেতে শুরু করে জানিয়ে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিরাজ বলেন, 'আমার জন্য খুব আনন্দদায়ক মুহূর্ত এটি। বিগত কয়েক বছরে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। ম্যানেজম্যান্টকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। শুরুতে বোলিংয়ের সময় একটু বেশী সতর্ক ছিলাম, কিন্তু অধিনায়ক আমাকে সাহস দিয়েছে। বুঝিয়েছে সঠিক জায়গায় বোলিং করতে। তার কথায় আমি আমি আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। অধিনায়ককে কৃতিত্ব দিতেই হয়।'
বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও দলের ত্রাতা মিরাজ। ৩ নম্বরে নেমে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, ফিরেছেন দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে আউট হলেও মিরাজ ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটা নিশ্চিত করেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছে। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৬ উইকেটে।
ব্যাটিং প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, 'উইকেটটা বেশ ভালো ছিল, আমি বল বাই বল খেলার চেষ্টা করেছি। উইকেটে হালকা টার্ন ছিল, চেষ্টা ছিল টিকে থাকার। আমি সবসময় আট নম্বরে ব্যাট করি, কিন্তু ওপরে খেলার সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। আমার ভেতর ভালো করার খুদা ছিল, আমি সুযোগ পেয়ে সেটাকেই কাজে লাগিয়েছি।'