promotional_ad

উপমহাদেশে বিশ্বকাপ এবং শ্রীলঙ্কার আরেকটি স্বপ্ন

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

২৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ হার

১৪ ফেব্রুয়ারি ২৫
স্টিভ স্মিথকে আউট করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার উল্লাস

প্রথম পাঁচ বিশ্বকাপ শ্রীলঙ্কার জন্য ছিল কেবলই অংশগ্রহণের মঞ্চ। নিজেদের খেলা প্রথম পাঁচ বিশ্বকাপেই গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়ে দেশের বিমান ধরেছে তারা। তবে দৃশ্যপট বদলে যায় ১৯৯৬ বিশ্বকাপে। ‘মিনোজ’ তকমা না থাকায় সেই বিশ্বকাপেও শ্রীলঙ্কা ছিল আলোচনার বাইরে। তবে সেবার সবাইকে রীতিমতো চমকে দিয়েছিল অর্জুনা রানাতু্ঙ্গার দল।


অরবিন্দ ডি সিলভা, সনাথ জয়সুরিয়ারদের পারফরম্যান্সে প্রথমবার সোনালি ট্রফিতে চুমু এঁকে দেয় দ্বীপ রাষ্ট্রটি। সেই বিশ্বকাপেই বিশ্বের কাছে নিজেদের একেবারে ভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত করে শ্রীলঙ্কা। পরের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়লেও থেমে থাকেনি শ্রীলঙ্কার উত্থান। রানাতুঙ্গাদের ফেলে যাওয়া দলটাকে বিশ্ব দরবারে অপ্রতিরোধ্য করে তোলেন কুমার সাঙ্গাকারা-মাহেলা জয়াবর্ধানে-লাসিথ মালিঙ্গারা।


নতুন শতাব্দীতে শ্রীলঙ্কাকে ছাড়া সেরা চান যেন ভাবতেই পারছিলেন না বিশ্লেষকরা। লঙ্কানদের কেন এতটা সমীহ করা হতো সেটার প্রমাণ দিয়েছেন পরের তিন বিশ্বকাপে। তিনবারই খেলেছেন সেমিফাইনালে, যেখানে দুবার ফাইনাল খেলে লঙ্কানরা হয়েছেন রানার্সআপ। মাহেলা-সাঙ্গাকারাদের সময়কে বলা হয়ে থাকে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের সোনালি দিন। সময়ের পরিক্রমায় সেই দিনগুলো ক্রমশই ধূসর হতে শুরু করেছে।


লঙ্কান ক্রিকেটের মধ্যগগণের সূর্য দিন দিন নামছে অস্তাচলে। মাঠের ক্রিকেটে বাজে পারফরম্যান্স, মাঠের বাইরের গড়পেটার খবর ব্যর্থতার চোরাবালিতে ডুবিয়েছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে। তবুও উপমহাদেশের মাটিতে খেলা হলেই জ্বলে উঠেন দাসুন শানাকারা। সবশেষ দুই এশিয়া কাপ যেন সেটারই প্রমাণ। ২০২২ এশিয়া কাপে একেবারে হিসেবের খাতায়ই ছিল না শ্রীলঙ্কা। সবাইকে চমকে দিয়ে শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতে নেয় তারা।


দেশের দুরাবস্থার মাঝেও সমর্থকদের মনে হাসি ফুটিয়েছে লঙ্কানদের পারফরম্যান্স। কদিন আগে হওয়া এশিয়া কাপেও ফাইনাল খেলেছে তারা। বর্তমানে তারা স্বপ্ন বুনছে বিশ্বকাপ রাঙানোর। তবে ভারতে যাওয়ার আগে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে শানাকাদের। জিম্বাবুয়েতে গিয়ে খেলতে হয়েছে বাছাই পর্ব। উপমহাদেশে খেলা হওয়ায় অনেকেই বাজি ধরতে পারেন শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে।



promotional_ad

১৯৯৬ এর পর ২০১১ সালে উপমহাদেশে হয়েছে বিশ্বকাপ। দুটি আসরেই চমক জাগানিয়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। এক যুগ পর আবারও মহাদেশে বিশ্বকাপ, ভারতের কন্ডিশনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তারা। মাঠের ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে আরও একবার লঙ্কানরা সোনালি ট্রফিতে চুুমু এঁকে দেবেন, এমনটা সমর্থকরা আশা করতেই পারেন।


আরো পড়ুন

দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট

৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
২০২৩ বিশ্বকাপের পর এবার ওয়ানডে একাদশে ফিরলেন জো রুট, ফাইল ফটো

যেখানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা-


সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনে, তিলকারত্নেদের মতো সেই ব্যাটিং প্রতাপ আর এখন দেখা যায় না শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে।গেল কয়েক বছরে নিজেদের একটু একটু করে গুছিয়ে নিতে শুরু করেছে তারা। পাথুম নিশানকা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমাদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইন আপ তবুও চমকে দিতে পারেন যেকোন দলকে। স্পিন খেলার দক্ষতা থাকায় খানিকটা এগিয়ে থাকবে লঙ্কানরা।


বোলিংয়ে দ্বীপ রাষ্ট্রটির সবচেয়ে আশার আলো মাহিশ থিকশানা এবং মাথিশা পাথিরানা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা এই দুই ক্রিকেটার কতটা ভালো করতে পারেন সেটা অন্তত বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতীয় কন্ডিশনে চেনা-জানা হওয়ায় লঙ্কানরা তাদের দুজনকে বাজি ধরতেই পারেন।


চমক দেখাতে পারেন যারা-


এবারের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় চমক হতে পারেন দুনিথ ওয়েলালাগে। কদিন আগে এশিয়া কাপে ভারতের ব্যাটিং অর্ডারকে একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ভারত বিশ্বকাপে আলো ছড়াতে পারেন এমন তরুণদের তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে ওয়াল্লালাগের নাম। বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাটিংটাও দারুণ করতে না পারায় শ্রীলঙ্কার আশার আলো হয়ে জ্বলতে পারেন তিনি।



দূর্বলতা-


এমনিতেই আগের সেই ধার নেই শ্রীলঙ্কার। গত কয়েক বছরে নিজেদের যতটা গুছিয়ে নিয়েছেন সেটা নিয়েও ভারতে আসতে পারেনি তারা। সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনেদের পর শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় তারকা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার। ডানহাতি লেগ স্পিনে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন সেটা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে দেখিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপে খেলার পেছনে অনেক বড় অবদান তার।


আইপিএলে দাপটের সঙ্গে পারফর্ম করার অভিজ্ঞতা থাকায় শ্রীলঙ্কার বাজির ঘোড়া হতে পারতেন হাসারাঙ্গা। তবে চোটের কারণে তাকে ছাড়াই খেলতে হচ্ছে এবারের মৌসুম। স্পিনে দুশান হেমন্থ, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, থিকশানা কিংবা ওয়াল্লালাগেরা থাকলেও হাসারাঙ্গার অভাব টুর্নামেন্টের সময় বাড়ার সাথে সাথে টের পাবে তারা। পেস বোলিংয়েও ভুগতে পারে দুশমন্থ চামিরা না থাকায়। নতুন দিনের তারকা হয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন তিনি। তবে ডানহাতি এই পেসারও বিশ্বকাপে নেই চোটের কারণে।


শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড- দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), কুশল মেন্ডিস (সহ-অধিনায়ক), কুশল পেরেরা, পাথুম নিশাঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নে, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দুশান হেমন্ত, মাহিশ থিকশানা, দুনিথ ওয়াল্লালাগে, কাসুন রাজিথা, মাথিশা পাথিরানা, লাহিরু কুমারা ও দিলশান মাদুশঙ্কা।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball