‘কোহলি নয় ভারতের জন্য বিশ্বকাপ জেতো’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রজতকে ভালোবাসুন, সে অসাধারণ প্রতিভা: কোহলি
১৮ মার্চ ২৫
একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরি, ৩৪ হাজারের বেশি রান শচীন টেন্ডুলকারের। ক্যারিয়ারে আক্ষেপ ছিল বিশ্বকাপ শিরোপা ছুঁয়ে না দেখা। ২০১১ সালে সেই অধরা স্বপ্নের দেখা পান শচীন। মাস্টার ব্লাস্টারের হাতে ট্রফি দেখতে নিজেদের সবটা উজাড় করে দিয়েছিলেন সতীর্থরা।
বিশ্বকাপ জয়ের পর ড্রেসিং রুমের নানা গল্প উঠে এসেছে ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎকারে। শচীনের পর ভারতের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা বিরাট কোহলি। সেই বিশ্বকাপে শচীনের সতীর্থ ছিলেন তিনি। তবে তখনও তেমন নাম ডাক হয়ে উঠেনি তার। তবে শচীনের বিদায়ের পর বিশ্ব ক্রিকেটে শাসন করেছেন কোহলি।

ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের বোলারদের যম হয়ে উঠেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। ২৫ হাজারের বেশি রানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭৭ সেঞ্চুরি আছে বিরাট কোহলির। অনেকের ধারণা ছিল সেঞ্চুরি আর রানের হিসেবে শচীনকে একটা সময় ছাড়িয়ে যাবেন তিনি। তবে কতটা যেতে পারবেন সেটা সময়ই বলছে।
‘টুর্নামেন্ট জিততে চাইলে বুমরাহকে ছাড়া খেলতে জানতে হবে’
১৫ ফেব্রুয়ারি ২৫
বয়স ৩৪ হওয়ায় ক্রিকেট ক্যারিয়ার যে খুব বেশি দিনের নেই সেটা অনুমেয়। টি-টোয়েন্টি খেলছেন না, ওয়ানডে ও টেস্টে নিয়মিত হলেও বিশ্বকাপের পর কতটা দেখা যাবে সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। পরের বিশ্বকাপে কোহলি খেলবেন কিনা সেটার নিশ্চয়তা নেই। ঘরের মাঠে তাই কোহলির হাতে শিরোপা দেখতে চান।
অনেকের ধারণা কোহলির জন্য বিশ্বকাপ জিততে নিজেদের সেরাটা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন ভারতের ক্রিকেটাররা। যেমনটা শচীনের জন্য করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, বীরেন্দ্রর শেবাগ, হরভজন সিং, যুবরাজ সিং, গৌতম গম্ভীররা শচীনের জন্য করেছিলেন। কোহলির জন্য এমনটা হবে কিনা সেটা সন্দিহান হরভজন। তাই কোহলির জন্য না ভেবে ভারতের জন্য শিরোপা জিততে বলছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে হরভজন বলেন, ‘ ২০১১ এবং ২০২৩ সালের দলের মাঝে পার্থক্য আছে। ২০১১ সালেল দলটা একতাবদ্ধ ছিল। সবাই টেন্ডুলকারের জন্য এটা জিততে চেয়েছিল। আমি আসলে ২০২৩ সালের দলটা সম্পর্কে জানি না। আমার সন্দেহ হয় কেউ এমন সম্মান অর্জন করতে পেরেছি না যেটা টেন্ডুলকার করেছিলেন।
আমি নিশ্চিত সব খেলোয়াড়ই দেশের জন্য বিশ্বকাপ জিততে চায় কিন্তু আমি সন্দিহান কেউ নির্দিষ্ট কোন খেলোয়াড়ের জন্য জিততে চায় কিনা। তুমি ভারতের হয়ে খেলো। আমরা সবাই ভারতের জয়ের জন্য প্রার্থনা করি। আমরা কখনই কোহলি কিংবা দ্রাবিড়ের জয়ের জন্য প্রার্থনা করি না।’