ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়াকে ছুঁতে ইংল্যান্ডের ‘ইটস কামিং হোম’

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অস্ট্রেলিয়ায় ‘বাজবল’ ঝুঁকিপূর্ণ হবে, দাবি ওয়ার্নারের
১৫ মার্চ ২৫
১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর পেরিয়ে গেছে কয়েক দশক; আশার প্রদীপ জ্বলেছে তবে সাফল্য ধরা দেয়নি ইংল্যান্ডের। সেই বিশ্বকাপ জয় ছাড়া পরবর্তীতে ফুটবলে আর কোনো বড় সাফল্য নেই তাদের। তবুও প্রতিটি বিশ্বকাপ দুয়ারে উঁকি দিতেই আশায় বুঁক বাধেন ইংলিশ সমর্থকরা। পারফরম্যান্স যাই হোক না কেন ব্রিটিশ গণমাধ্যমে রব উঠে ‘ইটস কামিং হোম’।
যদিও ফুটবলে ‘ইটস কামিং হোম’ স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না কয়েক দশক ধরে। ফুটবলের সঙ্গে ক্রিকেটের তেমন মিল নেই। তবুও ট্রফি তো সবাই ঘরে নিতেই চায়। ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি শিরোপা ছুঁয়ে দেখলেও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ট্রফি জেতা হয়ে উঠছিল না ইংল্যান্ডের। ইয়ন মরগানের নেতৃত্ব ২০১৯ সালে সেই খরা কাটায় তারা। মাঝে বছর চার পেরিয়েছে, ক্রমশই শক্তি বেড়েছে জস বাটলারদের।
টানা দুই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নে বিভোর ইংলিশরা। ওয়ানডেতে টানা দুবার শিরোপা জয়ের কীর্তি আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়ার। তৃতীয় দল হিসেবে টানা দুই বিশ্বকাপ জিততে অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ড। ভারতের কন্ডিশনে খানিকটা বিরুদ্ধে হলেও ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা বাড়তি সুবিধা দেবে তাদের।
ভারত বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচেও নিজেদের বেশ ভালোভাবেই তৈরি করে নিয়েছেন বাটলার, জনি বেয়ারস্টোরা। অবসর ভেঙে বেন স্টোকস ফেরায় শক্তি বেড়েছে ইংল্যান্ডের। বর্তমানে যে ধাচের ক্রিকেট খেলছে সেটা বজায় রাখতে পারলে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ না জেতার কোন কারণ নেই। আপাতত মাঠের ক্রিকেটে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাইবে ইংলিশরা।
শক্তির জায়গা-

ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গায় ভারতের মাটিতে ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা। সবশেষ আইপিএলে বিভিন্ন দলের হয়ে খেলেছেন বাটলার, জো রুট, মঈন আলী, হ্যারি ব্রুক, স্যাম কারান, লিয়াম লিভিংস্টোন, বেন স্টোকস, রিস টপলি, ডেভিড উইলি, মার্ক উডরা। এর আগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে জনি বেয়ারস্টোর।
দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট
৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
ব্যাটিংটা বড় ব্যবধান গড়ে দিতে পারে অন্যান্য দলের সঙ্গে। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম টেস্ট দলের কোচ হওয়ার পর বদলে এসেছে ইংল্যান্ডের খেলার ধরনে। বেশ খানিকটা আক্রমণাত্বক ক্রিকেট খেলায় যা পরিচিতি পেয়েছে বাজবল হিসেবে। রঙিন বলে অবশ্য ইংল্যান্ডের কোচ ম্যাথু মট। তারপরও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ধুম ধাড়াক্কা ক্রিকেটেই আস্থা তাদের।
সেটার প্রতিফলন দেখা গেছে গত কয়েক মাসে। ব্যাটিংয়ের মতো ধার আছে বোলিংয়েও। স্পিনে রুট, মঈনদের সঙ্গে দাপট দেখাতে পারেন আদিল রশিদ। দলের প্রয়োজনে হাত ঘুরাতে দেখা যেতে পারে লিভিংস্টোনকে। বোলিংয়ে ইংলিশদের সবচেয়ে শক্তির জায়গা টপলি, কারান, উড, ওকস এবং উইলিদের নিয়ে গড়া পেস ইউনিট।
দূর্বলতা-
নতুন বলে উডরা প্রতিপ্রক্ষের ব্যাটারদের একেবারে ধসিয়ে দিতে পারেন। ইংলিশদের দুশ্চিন্তা বাড়াতে পারে ডেথ বোলিং। জফরা আর্চার না থাকায় এখানে ভুগতে হতে পারে তাদের। এদিকে ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডের যা শক্তির জায়গা সেটাই আবার দূর্বলতার জায়গা। কখনও ব্যাটিংয়ে ধস নামলে সেদিন লড়াই করার পুঁজি পেতেও বেগ পোহাতে হবে ইংল্যান্ডকে।
যাদের উপর চোখ থাকবে-
জস বাটলার-
গত কয়েক মৌসুমে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএলে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন বাটলার। আইপিএলের সেই ব্যাটিং নিশ্চিতভাবে বিশ্বকাপেও দেখাতে চাইবেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। ব্যাটিংয়ে তাদের বড় অস্ত্র হতে পারেন বেয়ারস্টো। পাওয়ার প্লেতে প্রতিপক্ষের বোলারদের রীতিমতো গুঁড়িয়ে দেন তিনি। বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের তুরুপের তাস লেগ স্পিনার রশিদ।
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াড- জস বাটলার (অধিনায়ক), মঈন আলী, গাস অ্যাটকিনসন, জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, স্যাম কারান, লিয়াম লিভিংস্টোন, ডেভিড ম্যালান, আদিল রশিদ, জো রুট, বেন স্টোকস, রিস টপলি, ডেভিড উইলি, মার্ক উড ও ক্রিস ওকস।