শান্ত-মিরাজের দিকে চোখ রাখতে বলছেন হার্শা
.jpg)
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট
৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
বিশ্বকাপের আর দিন দুয়েক বাকি। এরই মধ্যে অনেক সাবেক ক্রিকেটারই বিভিন্ন দল ও ক্রিকেটারদের নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। বিশ্লেষণ করেছেন শক্তিমত্তার বিচারে কোন দল এগিয়ে কিংবা কোন কোন ক্রিকেটার মাতাতে পারেন এবারের এই বিশ্ব আসর।
এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে। তিনি ক্রিকবাজের এক ভিডিওতে বেশ কয়েকটি দলের কয়েকজন সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারদের নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই তালিকায় উঠে এসেছে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজের নাম।

শুরুটা করেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের প্রশংসা করে। হার্শা মনে করেন গত বিশ্বকাপে সাকিব ৬০০ এর বেশি রান করেছেন। এবারও বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেন। এর বাইরে মুশফিক ও লিটন দাস বাংলাদেশের বড় অস্ত্র হতে পারেন।
সেঞ্চুরির পর শান্তর স্বস্তি
১৮ মার্চ ২৫
এ প্রসঙ্গে হার্শা বলেন, ‘বাংলাদেশ! আমার অন্যতম পছন্দের দল। সাকিব আল হাসানকে খেলতে দেখতে ভালোবাসি। মাঠের বাইরে হয়তো একটু মেজাজি। কিন্তু মাঠের ভেতর নিখুঁত। বাংলাদেশ যদি (এই বিশ্বকাপে) এগিয়ে যেতে চায়, তাহলে সাকিব আল হাসানের চেয়ে বেশি কিছু লাগবে। গত বিশ্বকাপে সে ৬০০ রান করেছিল, বাংলাদেশও হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছিল। তাহলে (এবার) আর কার কার ওপর নজর রাখা যায়? আমি লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের বড় ভক্ত। কিন্তু আরও দুজন আছেন, যাঁরা দুর্দান্ত...।’
এরপরই হার্শার কথায় উঠে এসেছে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজের কথা। শান্তর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ও মিরাজের টেস্টের নির্ভরযোগ্য অফ স্পিনার থেকে সীমিত ওভারের ফরম্যাটের বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হয়ে ওঠা, কোনোটাই নজর এড়ায়নি এই ধারাভাষ্যকারের।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট–বিশ্বে সবাই শান্ততে (নাজমুলে) মুগ্ধ। ওপেনিংয়ে কিংবা তিনে খেলায় সে নিজের সামর্থ্য ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছে। এমন নয় যে সে হঠাৎ করেই আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিভার স্ফুরণ ঘটিয়ে অকালে ঝরে যাওয়া খেলোয়াড়দের মতো নয়, সে ধীরে ধীরে বড় কিছু হয়ে উঠেছে। মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ওপর থেকে সে চাপ কমাতে পারলে দলের জন্যই ভালো হবে।’
হার্শা আরও যোগ করেন, ‘টেস্টে আমি প্রথম তার (মিরাজের) বোলিং দেখেছি। সে টেস্টের জন্য যথাযথ অফ স্পিনার। এরপর বছরের পর বছর ধরে সাদা বলে তার পরিসংখ্যান দেখেছি, মাঝেমধ্যে সে ইনিংস উদ্বোধনও করে আবার অবিশ্বাস্য কিছু ইনিংসও খেলেছে। সাত–আটে থেকে ম্যাচ জেতানো কিংবা দলকে বিপদ থেকে সে উদ্ধার করতে পারে। আমার মনে হয়, মেহেদী হাসানের মধ্যে পরবর্তী সাকিব আল হাসান হওয়ার সব গুণাগুণই রয়েছে। আমি জানি না সে পারবে কি না, তবে মেহেদী হাসানকে পাওয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই স্বস্তির।’