শুধু বিশ্বকাপেই সীমাবদ্ধ থাকুক ওয়ানডে ক্রিকেট, চাওয়া এমসিসি সভাপতির
.jpg)
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট
৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রচলন শুরু হওয়ার পর অনেকেই মনে করেছিলেন টেস্ট ক্রিকেট হয়তো বিলীন হয়ে যাবে। তবে ওয়ানডের জনপ্রিয়তার সঙ্গে টেক্কা দিয়ে টেস্ট ক্রিকেট বহাল তবীয়তে টিকে আছে। এরপর টি-টোয়েন্টি আসার পর আবারও টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে।
সেই আশঙ্কাও সত্যি হয়নি। টেস্ট ক্রিকেটের উত্তেজনা, উন্মাদনা কিংবা নাটকীয়তার কাছে বারবার হার মেনেছে সীমিত ওভারের ক্রিকেট। তবে টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক প্রচলনের কারণে এক সময়ের জনপ্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডের ভবিষ্যৎ নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

কদিন আগেই বিশ্ব ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) ২০২৭ বিশ্বকাপের পর ‘ছেলেদের ওয়ানডে’ ক্রিকেট কমিয়ে নিয়ে আসার সুপারিশ করেছিল। এবার এমসিসির নতুন সভাপতি মার্ক নিকোলাসও ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কার বার্তা দিয়েছেন। তার চাওয়া শুধু বিশ্বকাপেই সীমাবদ্ধ থাকুক ওয়ানডে ক্রিকেট।
এমসিসির ১৩ সদস্যের পরামর্শক বোর্ডে জয় শাহ, চেয়ারম্যান সাঙ্গাকারা
২৪ জানুয়ারি ২৫
সম্প্রতি ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপকে নিকোলস বলেছেন, ‘আমরা জোরালোভাবে বিশ্বাস করি, ওয়ানডে শুধু বিশ্বকাপেই খেলা উচিত। এই সংস্করণের সার্থকতার জন্য দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলো কঠিন হয়ে উঠছে। অনেক দেশেই গ্যালারি ভরছে না। আর এখন টি–টোয়েন্টির ক্ষমতাও অতিপ্রাকৃত।’
এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে সাবেক এই ইংলিশ ক্রিকেটার বলেন, ‘বিষয়টি শুধু টিকিট বিক্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ না। এখন অনেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনতে চায়। প্রচুর দেশ টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায়। প্রচুর খেলোয়াড় বৈশ্বিকভাবে আলোচনায় থাকতে চায়। এই মুক্তবাজারে যার টাকা বেশি, সেই জিতবে। আর পার্থক্যটা এখানেই। খেলোয়াড়েরাও এই বাজারের অংশ হতে চায়—এটাই টি–টোয়েন্টির অসাধারণ ক্ষমতা। আর এর পাশাপাশি ৫০ ওভারের সংস্করণও চালিয়ে গেলে সেটি ওয়ানডে ক্রিকেটকে মৃত্যুর দিকেই ঠেলে দেবে।’
এমসিসির যেকোনো মন্তব্য ও সুপারিশ বেশ গুরুত্বসহকারে নিয়ে থাকে আইসিসি। অবশ্য আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে তার এমন মন্তব্য কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করেন নিকোলস। উল্টো আইসিসি তাদেরকে হুমকি মনে করে বলেও মন্তব্য করেছেন এমসিসি চেয়ারম্যান।
তার ভাষ্য, ‘এমসিসি এ বিষয়ে আর কতটা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পারে? বৈশ্বিক ক্রিকেটে আমাদের (এমসিসি) প্রাসঙ্গিকতা হারানোর ঝুঁকি কি আছে? আমরা কি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটিকে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি? সমস্যা হলো, আইসিসি এখন আমাদের কিছুটা হুমকি বলেই মনে করে। যখনই আমরা আওয়াজ জোরালো করেছি তখন আইসিসির ভাবখানা এমন যে “শান্ত হও, খেলাটা আমরা পরিচালনা করি।” তাই আইসিসির সঙ্গে আমাদের একীভূত হওয়াটা আরও ভালোভাবে করতে হবে।’