ভারতের মেরুদণ্ড গিল-কোহলি, হবে কী ২০১১ এর পুনরাবৃত্তি?

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দীর্ঘ সময় পর ইংল্যান্ডের ওয়ানডে একাদশে রুট
৬ ফেব্রুয়ারি ২৫
২০১১ সালের ফাইনালে সেঞ্চুরি করেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু তাঁর অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংসটির মহিমা বিশ্বকাপের ফাইনালের যেকোনো ইনিংসকেই ছাড়িয়ে যেতে বাধ্য। শচীন টেন্ডুলকার-বীরেন্দর শেবাগদের উইকেট হারিয়ে ভারত যখন ধুঁকছে যুবরাজ সিংকে বেঞ্চে রেখে চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ধোনি। এরপর নুয়ান কুলাসেকারা, মুত্তিয়া মুরালিধরন, থিসারা পেরেরা ও সুরাজ রানদিভদের তুলোধোনা করে ভারতকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপের স্বাদ দেন। কুলাসেকারার বলে লং অনের ওপর দিয়ে ধোনির জয়সূচক ছক্কাটি ক্রিকেট ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে।
সেই কীর্তির ঠিক ১২ বছর পর আবারও ঘরের মাঠে আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে নামছে ভারত। কাগজে কলমে বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে ভারত। বিশেষ করে শুভমান গিল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলদের মতো তারকা ব্যাটারদের নিয়ে গড়া টপ অর্ডার যেকোনো বোলিং লাইন আপের জন্য দুঃস্বপ্ন। এ ছাড়া জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদিপ যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের নিয়ে গড়া বোলিং আক্রমণ উপমহাদেশের কন্ডিশনে ভারতকে করে তুলতে পারে অপ্রতিরোধ্য।
সাম্প্রতিক সময়ে দল হিসেবেও দারুণ ফর্মে রয়েছে ভারত। কদিন আগেই এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে রোহিত শর্মার দল। এ ছাড়া ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কদিন আগেই ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে তারা। ফলে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রেখেই বিশ্বকাপ খেলতে নামবে স্বাগতিকরা। গত বেশ কিছুদিন ধরেই চার নম্বর ব্যাটার নিয়ে ধুঁকছে ভারত। যদিও ইনজুরি থেকে ফেরা শ্রেয়াস আইয়ার এই পজিশনে ভারতের সমাধান হতে চলেছেন।
ভারতীয় দলে বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডার রয়েছেন যারা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন যেকোনো মুহূর্তে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হতে পারেন হার্দিক পান্ডিয়া। পেস বোলিংয়ের সঙ্গে তার মারকুটে ব্যাটিং ভারতের স্কোয়াডের ভারসাম্য বাড়িয়েছে অনেক গুণ। এ ছাড়া রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর এমনকি রবীচন্দ্রন অশ্বিনও দলের প্রয়োজনের ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পারেন।

চোখ থাকবে যাদের ওপর-
ভারতের ৪ নম্বরের জায়গাটা নিজের করে নিতে চান আইয়ার
১৮ মার্চ ২৫
বিরাট কোহলি-
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার ধরা হয় বিরাট কোহলিকে। বিশ্বকাপের আগে ব্যাট হাতে অন্যতম সেরা ফর্মে আছেন এই ব্যাটার। এর আগে তিনটি বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারতীয় এই ব্যাটারের। বিশ্বকাপের আসরে ২৬ ম্যাচে ৪৬.৮১ গড়ে ১ হাজার ৩০ রান করেছেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপেও কোহলির দিকেই চেয়ে থাকবে ভারত।
সর্বশেষ এশিয়া কাপেও হেসেছে কোহলির ব্যাট। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৭তম সেঞ্চুরি। কোহলির নামের পাশে রয়েছে ১৩ হাজারেরও বেশি রান। ২০০৮ সালে অভিষেক হওয়া এই ব্যাটার ২৬৭ ইনিংসে ব্যাট করেছেন। ভারতের মাটিতেও দারুণ সফল কোহলি। ১১০ ওয়ানডেতে ৫৭.৯৪ গড়ে রান করেছেন তিনি। পেয়েছেন ২১টি সেঞ্চুরিও।
শুভমান গিল-
ব্যাট হাতে ফর্মের শিখরে আছেন শুভমান গিল। সর্বশেষ এশিয়া কাপে ৭৫.৫০ গড়ে ৩০২ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন তিনি। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে ৯৭ বলে ১০৪ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন এই ভারতীয় ওপেনার। ২০২৩ সালে ২০ ইনিংসে ব্যাট করে ১ হাজার ২৩০ রান করেছেন গিল। এর মধ্যে ৫টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। গড় ৭২ এর উপরে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে ভারত এই ব্যাটারকে নিয়ে বিশ্বকাপে বড় স্বপ্ন দেখতেই পারে।
ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াড-
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া (সহ-অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, ঈশান কিষান, সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদিপ যাদব, শার্দুল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামি ও মোহাম্মদ সিরাজ।