ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো অস্ট্রেলিয়া

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভারতের ৪ নম্বরের জায়গাটা নিজের করে নিতে চান আইয়ার
১৮ মার্চ ২৫
শেষ ৫ ম্যাচে নিজেদের মতো পারফর্ম করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। যার কারণে সাউথ আফ্রিকা এবং ভারতের কাছে সিরিজ হারতে হয় তাদের। তবে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগমুহূর্তে যেন স্বরূপে ফিরল প্যাট কামিন্সের দল। ভারতের বিপক্ষে ৬৬ রানের দারুণ এক জয় তুলে নিলো তারা। যদিও আগেই দুটি জয় পাওয়া ভারত সিরিজটি জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।
ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৭ উইকেটে ৩৫২ রান। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া খেলিয়েছে পূর্ণশক্তির দল। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা সবাই ছিলেন। উদ্বোধনী জুটিতেই দলটি তোলে ৭৮ রান।
৩৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তারপর ১৩৭ রানের জুটি গড়েন মিচেল মার্শ এবং স্টিভ স্মিথ। ৮৪ বলে ৯৬ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে বিদায় নেন মার্শ। এর একটু পরই ফিরে যান স্মিথ। তার ব্যাটে আসে ৬১ বলে ৭৪ রান।

৩১.৩ ওভারে স্মিথের উইকেট যখন অস্ট্রেলিয়া হারায় তখন তাদের রান ছিল ২৪২। এই সময়ে সফরকারীদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো চারশ রান অনায়সে পার করবে তারা। যদিও পরবর্তীতে ভারতের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তা আর হয়নি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় বললেন ৭৯২ উইকেট নেয়া সিডল
১৭ ঘন্টা আগে
মারনাস ল্যাবুশেনএর ৫৮ বলে ৭২ রানের ইনিংসে সাড়ে তিনশ স্পর্শ করে তারা। ভারতের বোলারদের মধ্যে ৮১ রান খরচায় তিন উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ। ৪৮ রান খরচায় দুই উইকেট নেন কুলদিপ যাদব।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতও আগ্রাসী সূচনা করে। শুভমান গিলের অনুপস্থিতিতে রোহিত শর্মার সঙ্গে রান তাড়ায় ভারতের হয়ে এ দিন ওপেনিংয়ে নামেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ওয়াশিংটন সুবিধা করতে পারেননি, ৩০ বল খেলে করেছেন ১৮ রান।
তবে আরেক প্রান্তে রোহিতের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৭৪ রান। ১১তম ওভারে সুন্দর ফিরে যান। তিনি সহ ভারতের প্রথম চার ব্যাটারের উইকেটই নেন ম্যাক্সওয়েল। রোহিতের ৫৭ বলে ৮১ এবং কোহলির ৬১ বলে ৫৬ ভারতকে লড়াইয়ে রাখে ভালোভাবেই।
পরের দিকে ইনফর্ম শ্রেয়াস আইয়ার করেন ৪৩ বলে ৪৮ রান। প্রথম ৩০ ওভারে উইকেট ধরে রাখলেও পরে গিয়ে আর সেটা পারেনি ভারত। রান ও বলের সমীকরণ ক্রমশ চাপ সৃষ্টি করে দলটির ওপর। ভারত অলআউট হয় ৪৯.৪ ওভারে ২৮৬ রান করে। ব্যাটারদের এই ম্যাচে দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচসেরা হন ম্যাক্সওয়েল।