যুব বিশ্বকাপ জেতায় ভয় নেই তানজিম সাকিবের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শান্তর মতো ট্রফি জিততে চান তাসকিন-তানজিমরাও
২০ ফেব্রুয়ারি ২৫
২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর খানিকটা যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন তরুণ এই পেসার। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে আবারও আলো কাড়েন তিনি। ঘরোয়ার মতো এইচপি, বাংলাদেশ ‘এ’ দলের জার্সিতেও ভালো ক??েছেন ২১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
ইমার্জিং এশিয়া কাপে ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট নেয়া তানজিম বড়দের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে নজর কেড়েছিলেন। তাতে করে সুযোগ মেলেছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে। যুবাদের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা থাকায় কোনো কিছু নিয়ে নিজের মাঝে ভয় নেই বলে জানিয়েছেন তরুণ এই পেসার।

বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তানজিম সাকিব বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল অবশ্যই স্বপ্নের মতো আর এখন বড়দের সাথে যাচ্ছি। ভালো খেলার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। ওইটা আমাকে অনেক মোটিভেশন দেয় কারণ একটা বিশ্বকাপ জিতছি সো আমার কোনো ধরনের ভয় কাজ করে না। মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী আছি। সো এটা আমাকে অনেক মোটিভেশন দেয়।’
এক ফরম্যাট খেলি বলে চাপ কম, এটা বললে ভুল হবে: শেখ মেহেদী
১৬ ঘন্টা আগে
সবশেষ এশিয়া কাপে নিজের অভিষেক ম্যাচে নতুন বলে ভারতীয় ব্যাটারদের দারুণভাবে ভুগিয়েছেন তানজিম সাকিব। রোহিত শর্মা ও তিলক ভার্মার মতো ব্যাটারদের বোকা বানিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে ভালো করার পর থেকে পরবর্তী ম্যাচগুলো ভালো খেলার পরিকল্পনা ছিল তানজিম সাকিবের।
তরুণ এই পেসার বলেন, ‘যখন আমি ভারতের সঙ্গে ভালো খেলি তখন আমার একটাই পরিকল্পনা ছিল পরবর্তী যে খেলাগুলো আসবে শুধু ভালো খেলে যাবো। নির্বাচক আমাকে যেখানে নিয়ে যাবে আমি ওখানেই ভালো খেলব। তারা যখন আমাকে বিশ্বকাপের জন্য বাছাই করলো সেটা আমি মনে করি আমার জন্য সূবর্ণ সুযোগ ভালো করার জন্য বা দেশকে ভালো কিছু দেয়ার জন্য। আমি ওইটাই চেষ্টা করব যাতে আমি দেশকে সর্বোচ্চটা দিতে পারি। আমি আমার থেকে শতভাগ চেষ্টা করে যাব বাকিটা আল্লাহ আমার সাথে থাকবে ইনশাআল্লাহ।’
বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ায় তানজিম সাকিবের মতো খুশি হয়েছেন তার বাবা-মাও। বড়দের বিশ্বকাপ থেকে শেখার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তানজিম বলেন, ‘এটা অসাধারণ একটা ফিলিংস। যখন আমি আমার আব্বু-আম্মু বলছিলাম উনারাও খুব খুশি হয়েছিল। পাশাপাশি আমি নিজেও অনেক খুশি ছিলাম। প্রথমবারের মতো যাচ্ছি আমি আমি চেষ্টা করব যতো পারা যায় শেখা যায় এখান থেকে। বিশ্বকাপে পৃথিবীর বড় বড় ক্রিকেটাররা ওখানে যাবে প্রত্যেকটা দেশের। আমি চেষ্টা করব আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলার জন্য আর শেখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।’