বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বোলিং পরীক্ষায় পাশ সাকিব
১২ ঘন্টা আগে
নাজমুল হোসেন শান্তর লড়াইয়ের পরও ট্রেন্ট বোল্ট, অ্যাডাম মিলনেদের দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ১৭১ রানে আটকে দেয় নিউজিল্যান্ড। ১৭২ রান তাড়ায় কিউইদের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন উইল ইয়াং এবং হ্যানরি নিকোলাস। তাদের দুজনের ব্যাটে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে সফরকারীরা। প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও শেষ দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিলো লকি ফার্গুসনের দল।
মিরপুরে ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিন অ্???ালেন ও উইল ইয়াং। তাদের দুজনের জমে উঠা ৪৯ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে থাকা নাসুম আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অ্যালেন। ডানহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান।
পরের বলে ডিন ফক্সক্রফ্টকে বিদায় করেছেন শরিফুল। বাঁহাতি এই পেসারের ফুল লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন এদিন অভিষেক হওয়া এই ব্যাটার। টানা দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন শরিফুল। দারুণ এক ডেলিভারি করলেও হ্যাটট্রিক করা হয়নি তার। দ্রুতই ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন উইল ইয়াং এবং হ্যানরি নিকোলস।
দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইয়াং। সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকা এই ওপেনারকে থামিয়েছেন নাসুম। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে দারুণ এক ডেলিভারিতে ৭০ রান করা ইয়াংকে বোল্ড করেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ইয়াং ফিরলে ভাঙে নিকোলসের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি। ব্লান্ডেল ২৩ এবং নিকোলস ৫০ রান করে কিউইদের জয় নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল।
এর আগে এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে জাকির হোসেন। তবে অভিষেকটা সুখকর হলো না বাঁহাতি এই ওপেনারের। অ্যাডাম মিলনের বলে বোল্ড হয়ে ৫ বলে ১ রান করে ফিরেছেন তিনি। জাকিরের পর সাজঘরে ফিরেছেন তানজিদ হাসান তামিমও। ট্রেন্ট বোল্টের অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফিন অ্যালেনকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তরুণ এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৫ রান।

৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তাওহীদ হৃদয়ের তিন চারে স্বস্তি খুঁজে নিয়েছিল বাংলাদেশ। দারুণ শুরুতে ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি। তবে বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়ই নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে তার জুটি। দলীয় ৩৫ রানে ফিরে যান তিনি।
‘নতুন’ পাকিস্তানকে ১০-১৫ ম্যাচ সুযোগ দিতে বলছেন হারিস
৩ ঘন্টা আগে
১৭ বলে ১৮ রান করা হৃদয়কে ফেরান অ্যাডাম মিলনে। অফসাইডের বাইরের বলটি কভারের উপর দিয়ে উঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন হৃদয়। পয়েন্ট অঞ্চলে ক্যাচ উঠে গেলে সেটা লুফে নেন উইল ইয়াং।
৩৫ রানে তিন উইকেট পড়ার পর বাংলাদেশকে উদ্ধারের মিশনে নামেন শান্ত এবং মুশফিকুর রহিম। শুরুটা রয়েসয়ে করলেও দারুণ দুটি ছক্কায় সকলের নজর কেড়ে নেন মুশফিক। তবে তার ২৫ বলে ১৮ রানের ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটে লকি ফার্গুসনের দারুণ এক ডেলিভারিতে।
ইনসাইড এজে বোল্ড ওয়ে ফিরে যান তিনি। ফলে শান্তর সঙ্গে তার ৫৩ রানের জুটি ভাঙে। দেখেশুনে খেলতে খেলতে ৫৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে তার জুটিটিও স্থায়ী হয়নি। ৪৯ রানের এই জুটি ভাঙে মিলনের বলে মাহমুদউল্লাহ ২৭ বলে ২১ রান করে ফিরলে। এই ইনিংসে ওয়ানডেতে নিজের পাঁচ হাজার রান পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ।
আশা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন শেখ মেহেদীও। ১৪ বলে ১৩ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে মাহমুদউল্লাহর মতোই উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। উইকেটের পেছনে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যাচ লুফে নিতে কোনো অসুবিধাই হয়নি টম ব্লান্ডেলের।
দেখতে দেখতে ৭০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যান শান্ত। অধিনায়কত্বের অভিষেকে ওয়ানডেতে কোনো বাংলাদেশীর এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে ভারতের বিপক্ষে ১৯৯৮ সালে ৭০ রান করেছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
যদিও ব্যক্তিগত ৭৬ রানে ফিরে যেতে হয় শান্তকে। ৮৩ বলে সাজানো এই ইনিংসে ছিল দশটি চারের মার। কোলে ম্যাকঞ্চির বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন বাংলাদেশের ভারপাপ্ত অধিনায়ক। শান্ত ফেরার কিছুক্ষণ পর অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ- ১৭১/১০ (৩৪.৩ ওভার) (শান্ত ৭৬; মিলনে ৪/৩৪)
নিউজিল্যান্ড- ১৭৫/৩ (৩৪.৫ ওভার) (ইয়াং ৭০, অ্যালেন ২৮, নিকোলস ৫০*)