হৃদয়কে দলে পেয়ে রোমাঞ্চিত নাফিসা

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সিলেট স্ট্রাইকার্সের অভিষেক মৌসুমে বাজিমাত করেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। দলকে ফাইনালে তুলতে নাজমুল হোসেন শান্তর মতো ব্যাট হাতে অবদান রেখেছিলেন তরুণ এই ব্যাটার। খেলে ফেলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়েও। দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয় এবার বিপিএল খেলবেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জার্সিতে। হৃদয়কে পেয়ে রোমাঞ্চিত দলটির মালিক নাফিসা কামাল।
বিপিএলের ড্রাফটের আগে নিজেদের ইচ্ছে মতো বিদেশী ক্রিকেটার দলে নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। সেই সুযোগে আগের মৌসুমে খেলা মোহাম্মদ রিজওয়ান, সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলী, খুশদিল শাহ, জনসন চার্লস এবং নাসিম শাহ। কয়েক বছর আগে খেলা রশিদ খানও আসছেন দলটির হয়ে খেলতে।

গত মৌসুমে ফরচুন বরিশালের হয়ে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালানো ইফতিখার আহমেদকে নতুন করে দলে নিয়েছে কুমিল্লা। এ ছাড়া তাদের হয়ে খেলতে আসবেন আফগানিস্তানের নূর আহমেদ এবং পাকিস্তানের জামান খান। দেশি ক্রিকেটার হিসেবে ড্রাফটের আগে যুক্ত করেছেন হৃদয়কে। অভিজ্ঞ ও তারুণ্যদের মিশেলে দল গড়ে বেশ খুশি কুমিল্লা।
ড্রাফট শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নাফিসা বলেন, ‘দলটা আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো হয়েছে। যেহেতু ড্রাফটের আগে আমরা কিছুটা কাজ করতে পেরেছি বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে। আমাদের পছন্দ এবং তৃপ্তি অনুযায়ী আমরা অনেক খেলোয়াড় নিতে পেরেছি। বেশিরভাগই পুরনো খেলোয়াড়, হাতেগোনা এক-দুইটা নতুন আসবে যেমন ইফতিখার, জামান খান। বাকি সবাই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অনেক পুরনো খেলোয়াড়, তারা কেবলমাত্র তাদের পুরনো ঠিকানা, পরিবারে ফিরছে।’
‘নতুন খেলোয়াড় যাদেরকে নিয়ে দল করেছি যেমন তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। আমাদের যেটা সংস্কৃতি বিদেশিরা অভিজ্ঞ হয় অনেক পুরনো, অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় আর স্থানীয়রা তরুণ, চ্যালেঞ্জিং, নতুন এবং এক্সাইটিং খেলোয়াড়। ওই কম্বিনেশনটা আমাদের জন্য কাজ করে।’
বিপিএলে সবচেয়ে বেশি চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা। গত মৌসুমে সিলেটকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় তারা। এবার পঞ্চম শিরোপা জয়ের মিশনে মাঠে নামবে তারা। দলের প্রত্যাশা জানতে চাইলে নাফিসা জানান, ফাইনালের দিন ট্রফি হাতে সবার সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষা করছেন তিনি।
নাফিসা বলেন, ‘আমাদের দেখে কি মনে হয় অন্য কোন প্রত্যাশা থাকতে পারে কখনও? এখন থেকেই চিন্তা করছি কখন আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে মাঠে ফাইনালের দিন ট্রফি নিয়ে ইনশাআল্লাহ।’