৪ হাফ সেঞ্চুরিতে জিতে ৩ ফরম্যাটের শীর্ষে ভারত

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দল নির্বাচন নয়, কেবল পারফরম্যান্সেই মনোযোগ সিরাজের
৯ ঘন্টা আগে
মোহালিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। একইসঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। এই জয়ে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ওয়ানডেতেও র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে গেল ভারত। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই গড়ে অস্ট্রেলিয়া। যদিও চার ব্যাটারের হাফ সেঞ্চুরিতে সেই লক্ষ্য ভালোভাবেই উতরে যায় ভারত।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তোলে ২৭৬ রান। শুরুতেই মিচেল মার্শের উইকেট হারায় দলটি। ৪ রান করে এই অলরাউন্ডার ফেরেন মোহাম্মদ শামির বলে। এরপর ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১০৬ বলে ৯৪ রানের জুটি গড়েন চোট কাটিয়ে ফেরা স্টিভ স্মিথ।
ওয়ার্নার হাফ সেঞ্চুরি পেলেও স্মিথ থামেন ৬০ বলে ৪১ রান করে। তার উইকেটও নেন শামি। চারে নামা মারনাস ল্যাবুশেন করেন ৩৯ রান। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়ে ফিরে যান ল্যাবুশেন।

১৫৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া পরের উইকেট হারায় ১৮৬ রানে। ৩১ রানে রানআউট হয়ে ফিরে যান ক্যামেরন গ্রিন। অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহটা অবশ্য আরও বড় হতে পারত। ৪৬.৩ ওভার শেষে দলটির রান ছিল পাঁচ উইকেটে ২৪৮। উইকেটে ছিলেন জস ইংলিস ও মার্কাস স্টইনিস। যদিও জসপ্রীত বুমরাহ এবং শামির দুর্দান্ত স্পেলে অস্ট্রেলিয়া থেমে যায় ২৭৬ রানে।
ফিট থেকেও না খেলার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন খাওয়াজা
৩ ঘন্টা আগে
শেষ দিকে ৯ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলেন প্যাট কামিন্স। ভারতের বোলারদের মধ্যে শামি ৫১ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নেন। বুমরাহ, অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা নেন একটি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ভারত তোলে ১৪২ রান। ৭৭ বলে ৭১ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তারপর আট বলে তিন রান করে রানআউট হয়ে বিদায় নেন শ্রেয়াস আইয়ার।
দলীয় ১৮৫ রানের মধ্যে শুভমান গিল এবং ইশান কিশানের উইকেট হারায় ভারত। ৬৩ বলে ৭৪ রান করা গিলকে বোল্ড করেন জাম্পা। ২৬ বলে ১৮ রান করা কিশান ফেরেন কামিন্সের বলে। তারপর ৮০ রানের জুটি গড়েন লোকেশ রাহুল এবং সূর্যকুমার যাদব।
এই জুটিতেই জয়ের সুর খুঁজে নেয় ভারত। ৪৯ বলে ৫০ রান করে শন অ্যাবটের বলে ফিরে যান সূর্যকুমার। ওয়ানডেতে দেড় বছর ও ১৯ ইনিংস পর হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। সূর্যকুমার ফিরে গেলেও ৬৩ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রাহুল।