বাংলাদেশের নাসিরের বিরুদ্ধে তদন্তে আইসিসি

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আবু ধাবি টি-টেন লিগে দুর্নীতির জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ও ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের এক সময়ের তারকা অলরাউন্ডার নাসির হোসেনও। জাতীয় দলে না থাকলেও নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে যাচ্ছেন নাসির।
২০২১ সালে তিনি আরব আমিরাতে পাড়ি দিয়েছিলেন আবু ধাবি টি-টেন লিগে খেলতে। সেই টুর্নামেন্টেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষ থেকে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

এই ঘটনায় নাসির ছাড়াও অভিযুক্ত হয়েছেন ক্রিশান কুমার চৌধুরি যিনি একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্যতম অংশিদার। এ ছাড়া আরেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশিদার পরাগ সাংভি, ব্যাটিং কোচ আসহার জাইদি, ঘরোয়া ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ, সিলিয়া সামান ও সহকারী কোচ শাদাব আহমেদ।
নাসিরের বিপক্ষে দুর্নীতি বিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ২.৪.৩ ধারা অনুযায়ী দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থ মূল্যের উপহার নেয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন নাসির।
এ ছাড়া ২.৪.৪ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে দুর্নীতি বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোন প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন কিনা, তাকে কোনভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কিনা তা পরিষ্কার তথ্য জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ঘটার বিস্তারিত নিয়েও মুখ খুলেননি নাসির।
নাসিরের বিরুদ্ধে শেষ অভিযোগটি ২.৪.৬ ধারায়। তিনি সম্ভাব্য দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন এমন তদন্তের বিষয়ে দুর্নীতির তদন্তে থাকা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন বা কোন যুক্তি ছাড়াই তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে পুনে ডেভিলসের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন নাসির। তবে নাসিরের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের সঙ্গে তার দলও ব্যর্থ হয়েছিল। গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচে ২ জয়ে ৮ দলের মধ্যে তারা ছিল তলানিতে।