২৩ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জয়ের বিশালতা বোঝেননি কোহলি

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
তিলক-হার্দিকের ঝড় থামিয়ে ওয়াংখেড়েতে জিতল বেঙ্গালুরু
৭ এপ্রিল ২৫
২৩ বছর বয়সেই ক্যারিয়ারের প্রথম এবং একমাত্র বিশ্বকাপ জিতেছেন বিরাট কোহলি। তবে এতো আগে বিশ্বকাপ জেতায় ট্রফির বিশালতাটুকু বুঝতে পারেননি তিনি। স্পষ্টই জানিয়েছেন, দেশের প্রতি সেই বয়সের আবেগ এবং আসন্ন বিশ্বকাপে আবেগের মাত্রার মধ্যে বিস্তর ফারাকের কথা।
২০১১ সালে ঘরের মাঠের সেই বিশ্বকাপটি ছিল শচিন টেন্ডুলকারের শেষ বিশ্বকাপ। এর আগে কখনো বিশ্বকাপ না জেতা শচিনের কাছে ওই ট্রফির গুরুত্ব যেমন আবেগের ছিল, ঠিক তেমনি ওই সময়ে বিশ্বকাপ জয়ের বিশালতাটুকু ভালমতো বুঝতেই পারেননি তখনকার তরুণ ব্যাটার কোহলি।
তবে সময়ের পরিক্রমায় বিশ্বকাপ জেতার আবেগমাখা মুহূর্তগুলো ভালোমতোই বুঝতে পেরেছেন কোহলি। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর শচিনকে কাঁধে নিয়ে মুম্বাইয়ের পুরো ওয়াংখেডে স্টেডিয়াম ঘুরেছেন। সম্প্রতি জানিয়েছেন সেই সব মুহূর্তের কথাই।

কোহলি বলেন, 'আমার ক্যারিয়ারের হাইলাইট অবশ্যই ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জেতা। সেই সময়ে আমার বয়স ছিল ২৩ এবং আমি সম্ভবত এর বিশালতা তখন বুঝতে পারিনি। তবে এখন আমার বয়স ৩৪। আরও বিশ্বকাপ আমি খেলেছি, যেগুলো জিততে পারিনি।'
এখনও অবসর নিয়ে ভাবছেন না ধোনি
৬ এপ্রিল ২৫
'সুতরাং আমি সব সিনিয়র ক্রিকেটারের (২০১১ বিশ্বকাপে) আবেগ বুঝতে পারি। সবচেয়ে বেশি বুঝি শচিন টেন্ডুলকারের ক্ষেত্রে। যেহেতু এটা তার শেষ বিশ্বকাপ ছিল। এর আগেই তিনি অনেক বিশ্বকাপ খেলেছেন, তবে জিতেছেন নিজের শহর মুম্বাইতে যা তার জন্য বিশেষ কিছু ছিল। এটা তার স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতোই।'
ভারতের জন্য সেই বিশ্বকাপ ছিল ২৮ বছরের শিরোপা খরা এড়ানোর মিশন। অনেক কঠিন ছিল সেই চাপ, মনে করিয়ে দিয়েছেন কোহলি। একইসঙ্গে সেই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এতো সরব ছিল না বলে নিজেদের ভাগ্যবানও দাবি করেন তিনি।
কোহলি আরও বলেন, 'সেই সময় আমরা যখন ভ্রমণ করছিলাম (বিশ্বকাপে), তখন কী রকম চাপে ছিল ক্রিকেটাররা সেটা আমার মনে আছে। ভাগ্যবশত ওই সময়ে এতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। তাহলে ব্যাপারটা ভয়ংকর হতো।'
'তবে সত্যি বলতে বিমানবন্দর থেকেই আমাদের ভাবনায় ছিল, বিশ্বকাপ জিততে হবে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের দায়িত্ব ছিল সকল চাপ সামলানোর। এটা দারুণ ছিল। আর ওই রাত ছিল জাদুকরী এক মুহূর্ত।'