‘৫-১০ বছরে আফগানিস্তান ১৫০ কি.মি. গতির পেসার খুঁজে বের করবে’

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আফগানিস্তানকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরিকল্পনা বিসিবির
১৪ মার্চ ২৫
মার্ক উড, অ্যানরিখ নরকিয়া, হারিস রউফরা গতি দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে রাজত্ব করছেন। স্পিন নির্ভর আফগানিস্তানে পেসার থাকলেও তেমন কোন গতি তারকা নেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারিসের গতিতে কুপোকাত হওয়ার পর হামিদ হাসান জানিয়েছেন, আগামী ৫-১০ বছরের মাঝেই তারা ১৫০ কি.মি বা তার চেয়ে বেশি গতির বোলার খুঁজে বের করবে।
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বরাবরই স্পিনারদের উপর ভরসা করে আফগানিস্তান। যেখানে রশিদ খানের সঙ্গে আছেন মোহাম্মদ নবি, মুজিব উর রহমান, নূর আহমেদরা। যারা কিনা স্পিন ঘূর্ণিতে ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলে ফেলেন। অথচ বছর দশেক আগে আফগান দলে পেসারদের আধিক্য ছিল। এরপর নবি, রশিদরা এসেছেন। সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন হামিদ।
ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে হামিদ বলেন, ‘দেখুন, ১০ বছর আগে আফগানিস্তানের ক্রিকেটে পেস বোলার ছিল এরপর নবি এসেছে। তারপর রশিদ এবং আরও অনেক স্পিনার এসেছে। আমরা যখন ম্যাচ খেলতাম তখন বেশিরভাগই স্পিনাররা বোলিং করত। আমরা স্পিনারদের উপর নির্ভরশীল ছিলাম কিন্তু তার মানে এই না ওই সময় আমাদের পেস বোলার ছিল না।’

সাস্প্রতিক সময়ে স্পিনারদের মতো আফগানিস্তান দলে পেসারদেরও আধিক্যও বেড়েছে। যেখানে ফজলহক ফারুকীর সঙ্গে আছেন নাভিন উল হক আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ফরিদ মালিক, নিজাত মাসৌদ, সেলিম সাফি, ওয়াফাদার মোমাদ এবং আব্দুর রেহমান। বোলিংবিভাগে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান আফগানিস্তানের বোলিং কোচ।
হামিদ বলেন, ‘আমরা আমাদের বোলিং বিভাগে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছি। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ থেকেই আমরা সেটা চেষ্টা করছি। বোলিংয়ে আমরা নির্দিষ্ট কোন বিভাগের উপর নির্ভর হতে চাই না। স্পিনারদের কথা বললে আমরা খুবই ভালো এবং সেটা নিয়ে আমাদের কোন সন্দেহ নেই।’
‘আপনি যদি পেসারদের কথা বলেন সেখানে ফারুকী আছে, যে কিনা টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বর বোলার। আমাদের ফরিদ মালিক, নাভিন, আজমত, নিজাত মাসৌদ আছে। নতুর হিসেবে আব্দুর রেহমানও ১৪০ কি.মি. এর চেয়ে বেশি গতিতে বোলিং করতে পারে। বোলিং ইউনিটে ব্যাক আপ হিসেবে সেলিম এবং ওয়াফাদার মোমাদ আছে।’
বোলিং ইউনিটে বেশ কয়েকজন থাকায় একাদশ বাছাই করতে বিপাকে পড়তে হয় বলে জানান হামিদ। এটাকে ভালো হিসেবে দেখলেও দ্রুত গতির পেসার খুঁজে বের করতে চান আফগানিস্তানের বোলিং কোচ। তার ধারণা আগামী ৫-১০ বছরের মাঝে আফগানিস্তান ১৫০ কি.মি. এর চেয়ে বেশি গতিতে বোলিং করতে পারে এমন বোলার খুঁজে বের করবে।
তিনি বলেন, ‘কখনও কখনও আমরা একাদশ বাছাই করতে গিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকি কাকে খেলাবো এবং কাকে বসিয়ে রাখব। এটা ভালো জিনিস কিন্তু আমরা আসলে কি চেষ্টা করছি। আগাশী ৫-১০ বছরের মাঝে আফগানিস্তানের জন্য এমন বোলার খুঁজে বের করব যারা ১৫০ কি.মি. গতির বোলিং করতে পারে।’