স্ট্রিকের মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি, মারা যাননি টাইগারদের সাবেক কোচ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অধিনায়ক হতে রাজী থাকলেও আপাতত শান্তকে সাপোর্ট করতে চান মিরাজ
১১ এপ্রিল ২৫
জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর নিয়ে গত কয়েক ঘণ্টা ধরেই বেশ বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত জানা গেছে, তিনি মারা যাননি। ক্যান্সারের চিকিৎসা এখনও চলছে জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়কের।
লম্বা সময় ধরে লিভার ও কোলন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন স্ট্রিক। বুধবার ভোরে স্ট্রিকের সাবেক সতীর্থ হেনরি ওলোঙ্গার পোস্টে জানা যায়, মারা গেছেন তিনি। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই ওলোঙ্গা নিশ্চিত করেন, এখনও জীবিত স্ট্রিক। টুইটারে (এক্স) নিজের লেখা পোস্টটি মোট ছয়বার সম্পাদনা করেন ওলোঙ্গা।
ওলোঙ্গা বলেন, 'আমি নিশ্চিত করতে পারি যে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর গুজবটি ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। আমি শুধু তার কাছ থেকে শুনেছি। থার্ড আম্পায়ার তাকে ফেরত ডেকেছেন। তিনি জীবন্ত একজন মানুষ।'

গত কয়েকমাস ধরেই সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের একটি হাসপাতালে বাংলাদেশের সাবেক পেস বোলিং কোচের ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে। ক্যান্সারের একদম শেষ স্তরে যখন তার চিকিৎসা চলছে তখনই জানা যায় তার অসুস্থতার খবর।
এর আগে জিম্বাবুয়ের সাবেক পেসার ওলোঙ্গা টুইটারে সতীর্থের মৃত্যুর খবর দিয়ে লিখেছিলেন, ‘খারাপ খবর পেলাম, হিথ স্ট্রিক অন্য ভুবনে চলে গেছে। আরআইপি লেজেন্ড। আমাদের দেশ থেকে উঠে আসা সেরা অলরাউন্ডার। তোমার সঙ্গে খেলাটা আনন্দের ছিল। আমার বোলিং স্পেল যখন শেষ হবে অন্য ভুবনে তোমার সঙ্গে দেখা হবে।’
জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার স্ট্রিক ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ছিলেন। দেশটির ইতিহাসের সেরা পেসার মনে করা হয়ে থাকে স্ট্রিককে। দেশের হয়ে ৬৫টি টেস্ট খেলেছেন তিনি।
উইকেট নিয়েছেন ২১৬টি। এ ছাড়া ওয়ানডেতে ১৮৯ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ২৩৯ টি। ব্যাট হাতে টেস্টে ১ হাজার ৯৯০ রান করা স্ট্রিক ওয়ানডেতে করেন ২ হাজার ৯৪৩ রান। ক্রিকেট ছাড়ার পর সফলতার সঙ্গে কোচিং পেশায় যুক্ত থাকতে দেখা যায় স্ট্রিককে।
২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাংলাদেশ ছাড়াও জিম্বাবুয়ে, স্কটল্যান্ড, গুজরাট লায়নস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচিং প্যানেলেও দেখা যায় তাকে।
অবশ্য বছরখানেক ধরে কোনও আলোচনায় ছিলেন না তিনি। আইসিসি দুর্নীতি বিরোধী বিধির কয়েকটি ধারা ভঙ্গের দায়ে ২০২১ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে তাকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইসিসি।