বাংলাদেশের ঘটনায় শাস্তি পেলেও অনুশোচনা নেই হারমানপ্রীতের

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রাচিন-ডাফিকে পেছনে ফেলে আইসিসির মাসসেরা আইয়ার
১৫ এপ্রিল ২৫বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আচরণবিধি ভঙ্গ করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন হারমানপ্রীত কৌর। আউট হওয়ার পর ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করেছিলেন ভারতীয় এই অধিনায়ক। এরপর পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আম্পায়ারিং নিয়ে বিদ্রূপ মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
ফটোসেশনের পর বাংলাদেশ দলকে নিয়ে কটুক্তি করেছিলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। এমন আচরণের কারণে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাকে। ফলে এশিয়ান গেমসের প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারবে না তিনি। এই ঘটনার মাস খানেক পেরিয়ে গেলেও কোনো অনুশোচনা নেই হারমানপ্রীতের।

সম্প্রতি দ্য ক্রিকেট পেপারের সঙ্গে একান্ত আলাপে ভারতীয় এই ব্যাটার বলেছেন, ‘আমি বলব না যে আমি কোনো কিছুতে অনুশোচনা করছি। কারণ দিন শেষে আপনি একজন খেলোয়াড় হিসেবে দেখতে চাইবেন ন্যয্য জিনিসগুলো হচ্ছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আপনার সবসময় নিজেকে প্রকাশ করার এবং আপনি কি অনুভব করছেন তা প্রকাশের অধিকার আছে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে করা নিজের আচরণকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে হারমানপ্রীত বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না আমি ভুল কিছু বলেছি কোনো প্লেয়ার বা কাউকে। আমি শুধু বলেছি মাঠে যেটা হয়েছে। আমি কোনো কিছুতে অনুশোচনা করি না।’
হারমানপ্রীতের এমন মন্তব্যের ফলে বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আম্পায়ারিং নিয়ে এখনও দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি এই ভারতীয় ব্যাটারের। তিনি এখনও নিজের উদ্যত আচরণের জন্য নিজেকে দোষী মনে করছেন না।
যদিও হারমানপ্রীতের এমন ঘটনার পর চারদিকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) পক্ষ থেকেও এমন ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছিল। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি তার শাস্তিকে 'যথেষ্ট' হিসেবে মন্তব্য করেছিলেন।
হারমানপ্রীতের মন্তব্যকে 'আপত্তিকর' বলে তুলে ধরেছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ডায়না এডুলজিও। তিনি বলেছিলেন, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পর হারমানপ্রীত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য আম্পারদেরও ডাকছে। ইঙ্গিত করছে যে, আম্পায়াররা বাংলাদেশ দলের অংশ ছিল– বাংলাদেশের হয়ে খেলেছে। এটা তো খুবই আপত্তিকর।’