‘বাবরের সঙ্গে বন্ধুত্ব উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নারী বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশকে যা করতে হবে
২০ ঘন্টা আগে
অনূর্ধ্ব-১৫ দলের ট্রায়াল দেয়ার সময় থেকেই বাবর আজমের সঙ্গে পরিচয় উসমান কাদিরের। এরপর বয়স ভিত্তিক দলে খেলার সময় থেকেই তাদের বন্ধুত্ব। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের হয়ে বাবরের অভিষেক হয়ে যায়। যদিও পাকিস্তানের জার্সি গায়ে দিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে উসমানের।
বাবর এখন পাকিস্তানের অধিনায়ক। কাছের এই বন্ধু জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ায় উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উসমান। এমনকি বাবর অধিনায়ক হওয়ার পর তার জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নিয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

বাবর নয় বরং প্রধান কোচ মিসবাহ উল হকের চাওয়াতেই জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন তিনি। বন্ধু হিসেবে জাতীয় দলে সুযোগ চান না বলেও জানিয়েছেন এই লেগ স্পিনার। উসমানকে নিয়ে এর আগে বেশ কয়েকবার এমনই এক ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন বাবর নিজেও।
‘১২ জন’ ব্যাটিং করেও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল না পাকিস্তান
৫ এপ্রিল ২৫
উসমান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'বাবরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আজ থেকে নয়- যখন আমরা দুইজন অনূর্ধ্ব-১৫ দলের ট্রায়াল দিয়েছিলাম, তখন থেকে। বাবর অধিনায়ক হওয়ার পরই আমি দলে প্রথম সুযোগ পাই। তবে তার মানে এই নয় যে, সে আমাকে দলে নিয়েছে। আমাকে দলে এনেছিলেন মিসবাহ উল হক। আগেও বলেছি, বাবর আমাকে দলে নেয়নি এবং কেন নেবে সে? এটা তার দল নয়-এটা পাকিস্তান দল। এমনকি বাবর নিজেও একথা স্বীকার করেছে।'
উসমান এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ২৩ টি-টোয়েন্টিতে ১৯.০৬ গড়ে শিকার করেছেন ২৯ উইকেট। একটি মাত্র ওয়ানডে খেলে একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। যদিও সাদা পোশাকে এখনও খেলার সুযোগ হয়নি এই লেগ স্পিনারের। উসমান জানিয়েছেন বন্ধু বাবরের কাছ থেকে সুবিধা নিলে তাকে দলের বাইরে থাকতে হতো না এখন।
তার ভাষ্য, '(আমার দলে আসার কারণ হিসেবে) বাবর ও আমার বন্ধুত্ব নিয়ে যদি কথা বলা হয়, তাহলে বলব, আমার কখনই দলের বাইরে থাকার কথা ছিল না। আসলে বাবরের সঙ্গে বন্ধুত্ব আমার উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করেছে, কারণ এটা আমাদের উভয়ের ওপরই সমানভাবে বাড়তি চাপ যোগ করেছে।'